ঢাকা, রবিবার   ১১ মে ২০২৫

কাজের মধ্যে স্রষ্টাকে স্মরণ করুন

প্রকাশিত : ১৫:৩১, ২৫ মে ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মানুষকে আল্লাহতায়ালা জীবিকার অন্বেষণে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে কাজের মধ্যে ডুবে থাকার জন্য বলেছেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এও বলে দিয়েছেন যে, যদি তারা এই কাজের মধ্যে স্রষ্টাকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে তাহলে সফলকাম হবে।

‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে, তোমরা বাইরে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করবে ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুম্মা ৬২:১০)

অধিকাংশ মানুষ এই আয়াতের মাধ্যমে যুক্তি দেখান যে, আল্লাহতায়ালা নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ থেকে বের হয়ে কাজে নেমে পড়তে বলেছেন এবং তারা কাজে নেমে পড়েন। শ্রমিক, কৃষক, কারিগর, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ডাক্তার, বিজ্ঞানী হিসেবে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে থাকেন এবং মনে করেন যে, এই কাজের মাধ্যমে স্রষ্টাকে পাওয়া যাবে।

অথচ আল্লাহতায়ালা উপরোক্ত আয়াতের শেষাংশে স্রষ্টাকে যে অধিক অধিক স্মরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তা ভুলে যান। ফলে তাদের সমস্ত জাগতিক কর্মকাণ্ড স্রষ্টার স্মরণ থেকে বিচ্যুত হয়ে সৃষ্টিমুখী ও বিফল হয়ে যায়। মহাজ্ঞানী আল্লাহতায়ালা ভালভাবে জানেন যে, মানুষ কাজের মধ্যে ডুবে গিয়ে স্রষ্টাকে ভুলে যাবে, তাই তিনি কাজের মধ্যে তাকে অধিক স্মরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে মানুষ ইহকাল ও পরকালে সফল হতে পারে। কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হবে কিন্তু সব সময় অন্তরকে রেখে দিতে হবে স্রষ্টার কাছে স্রষ্টার স্মরণে।

যারা আল্লাহর বান্দা তারা বাহ্যত ঘড়ির কাটার মতো দুনিয়ার কাজের মধ্যে ডুবে থাকে, কিন্তু হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে চলে ‘টিক টিক টিক’-স্রষ্টার নিঃশব্দ স্মরণ আর অপেক্ষায় থাকে কবে এ জীবন শেষ করে ফিরে যাবে মহাপ্রভুর কাছে ও পরমাত্মার কাছে যেখান থেকে তার আত্মা বিচ্ছিন্ন হয়ে এসেছিল জন্মের সময়।

সত্যিকার অর্থে স্রষ্টার প্রতি সমর্পিতরাই শত কাজের মধ্যে স্রষ্টার স্মরণের দীপ জ্বালিয়ে রেখে কাজে ডুবে থাকতে পারেন ও সফলকাম হন।

(শোকরিয়া, প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ গ্রন্থ)

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি