ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

খুশকি থেকে মুক্তি মিলবে যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে সিংহভাগ মানুষই খুশকি সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে পার্থক্য হলো কারো শুধু শীতকালে, কারো কারো সারা বছর ধরেই থাকে এ সমস্যা। তবে ত্বকের এই সমস্যা নিয়ে আর চিন্তা নেই! কারণ এমন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আছে যেগুলো নিয়মিত কাজে লাগালে খুশকির সমস্যা কমতে সময় লাগবে না।
একই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পড়ার মতো। তাহলে আর অপেক্ষা কেনো জেনে নিন কিভাবে এটি থেকে আপনি মুক্তি পাবেন-
নিম পাতা: গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভেতরে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ। যা স্কাল্পের ভেতরে সংক্রমণের প্রকোপ কমানোর মধ্যে দিয়ে খুশকির সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই মাথা চুলকাতে চুলকাতে যদি জীবন দুর্বিসহ হয়ে থাকে, তাহলে চুলের পরিচর্যায় নিম পাতাকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না।
এক্ষেত্রে এক কাপ পানি পরিমাণ মতো নিম পাতা ফেলে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভাল করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। এমনটা সপ্তাহে কয়েকবার করলেই দেখবেন এ থেকে আপনি মুক্ত।
লেবুর মহিমা: স্কাল্প যখন খুব ড্রাই হয়ে যায়, তখনই সাধারণত খুশকির সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাই স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাকে যদি একবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়, তাহলে এমন সমস্যা কমতে দেখবেন সময় লাগবে না। এখন প্রশ্ন হলো স্কাল্পের আদ্রতাকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব? এক্ষেত্রে প্রতিদিন লেবুর রস স্কাল্পে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন সমস্যা কমে গেছে। আসলে লেবুর রস লাগানো মাত্র স্কাল্পের অন্দরে পি এইচ লেভেল বাড়তে শুরু করে। ফলে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে, সেই সঙ্গে দূরে পালায় খুশকির সমস্যা।
বেকিং সোডা: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বেকিং সোডার সঙ্গে সম পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে বানানো পেস্ট চুলে লাগালে স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। সেই সঙ্গে পি এইচ লেভেলের উন্নতি ঘটে। শুধু তাই নয়, স্কল্পে জমে থাকা মৃত কোষের স্তরও ধুয়ে যায়। ফলে খুশকির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই তো এমন ধরনের ত্বকের রোগের মোকাবিলায় এই ঘরোয়া টোটকাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে!
টি-ট্রি তেল: সাধারণত প্রতিদিন তেল ব্যবহার করলে অনেক সময় খুশির প্রকোপ মারাত্মক বেরে যায়। কিন্তু সাধারণ তেলের পরিবর্তে যদি টি-ট্রি অয়েল মাথায় লাগান, তাহলে কিন্তু এমন সমস্যা হয় না। উল্টে খুশকির প্রকোপ কমে যেতে শুরু করে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো টি-ট্রি অয়েল নিয়ে তা অল্প পরিমাণে পানির সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। কিছু সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। এইভাবে নিয়মিত যদি চুলের পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন খুশকির নাম-গন্ধও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ভিনিগারের যাদু: একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত যে, ত্বকের রোগের চিকিৎসায় ভিনিগারকে যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। আসলে ভিনিগারের ভেতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান, একদিকে যেমন মৃত কোষের স্তরকে ধুয়ে ফেলে, তেমনি চুলকানির প্রকোপ কমায়। ফলে খুশকির সমস্যা মিটতে সময় লাগে না।
দই: খুশকির প্রকোপ কমাতে বাস্তবিকই দইয়ের কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, চুলের সার্বিক সৌন্দর্যতা এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও এই দুগ্ধজাত দ্রব্যটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে দইয়ের ভেতরে থাকা একাধিক উপকারি অ্যাসিড এবং খনিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এখন প্রশ্ন হল, চুলের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগাতে হবে দইকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো টক দই নিয়ে তা ভাল করে স্কাল্পে এবং চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ দিন এই ঘরোয়া টোটকাটিকে যদি কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুন উপকার পাওয়া যায়।
অলিভ অয়েল: খুশকির সমস্যা কমাতে এই তেলটি দারুন উপকারে লাগে। আসলে অলিভ অয়েলে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন স্কাল্পের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতাকে ফিরিয়ে আনে, তেমনি চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ফলে সমস্যা কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে চুলটা ভিজিয়ে নিয়ে তারপর হালকা গরম করে রাখা অলিভ অয়েল স্কাল্পে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। এরপর কিছু সময় অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে চুলটা। বোল্ডস্কাই

আর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি