ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

চার কারণে মধুর সম্পর্ক বিচ্ছেদে রূপ নেয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৩৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আজকাল হরহামেশাই হচ্ছে বিচ্ছেদ। তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। স্বামী-স্ত্রীর মধুময় সম্পর্ক রূপ নিচ্ছে তিক্ত বিচ্ছেদে। কেন হচ্ছে এই বিচ্ছেদ?

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে বিয়ের আগে যতটা প্রেম ছিল বিয়ের পর তার সিংহভাগ থাকে না। কাজের চাপে যৌনজীবনের প্রতি অনীহা। এছাড়া ধৈর্য্য-সহ্যের অভাব, পান থেকে চুন খসলেই সোজা বিচ্ছেদ। এই প্রজন্মে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে মূল কারণগুলো হল-

ভালোবাসার অভাব
ডিভোর্সের ৪৭ শতাংশের মূল কারণ ভালোবাসার অভাব। যা দেন-দরবার করে হয় না। বেশিরভাগ যুগলের মধ্যে এই টানটাই থাকে না। এরকম ক্ষেত্রে অনেকেই বিচ্ছেদের কারণে বলেন, স্বামীর বা স্ত্রীর প্রতি কারোর কোন রকম ফিলিংস নেই। ফলে বছরের পর বছর এক ছাদের নীচে থাকা সম্ভব নয়।

জেদ আর ভুল বোঝাবুঝি
৪৪ শতাংশ ডিভোর্স হয় নিজেদের জেদ আর ভুল বোঝাবুঝিতে। কেউ যখন পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে না চান বা নিজের জেদ ধরে বসে থাকেন তখন সেই সমস্যা সমাধান হওয়ার নয়। দুজনেই দুজনের ভুল ধরতে ব্যস্ত, শোধরাতে নয়। শেষ পর্যন্ত ঘনিয়ে আসে বিচ্ছেদ।

সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা নেই
একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে, সহানুভূতি না থাকলে সেই সম্পর্কের জোর থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে ভালোবাসার থেকেও জটিল এবং কঠিন হল সম্মান। এটি না থাকলে ঠুনকো জিনিসেই ঘটতে পারে বিচ্ছেদ।

মনের মিল
দুজন মানুষ কখনই এক হয় না। কিন্তু নিজের মধ্যে কিছুটা সামঞ্জস্য অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। যখন উভয়ের মধ্যে মনের মিলের বিস্তর ফারাক থাকে তা কোন এক সময় রূপ নিতে পারে বিচ্ছেদে।

ডিভোর্স মোটেই সোজা ব্যাপার নয়। যে মানুষটার সঙ্গে এতদিন ঘর করলেন তার সঙ্গে প্রচুর স্মৃতি রয়েছে, তা একবার অন্তত ভাবুন। সম্পর্কের ইতি কাগজে কলমে সহজ হতে পারে, জীবনের খাতায় ততোটাই কঠিন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি