ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চেষ্টা হোক জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২৮ মে ২০১৯

দুনিয়া হচ্ছে আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। এখানে যে যেমন কাজ করবে আখিরাতে সে রকম ফল পাবে। রমজান অর্জনের মাস, আল্লাহ বান্দার জন্য অপূর্ব সুযোগ দিয়েছেন। কম কষ্টে অধিক পূণ্য। রমজানের শেষ ভাগ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই কৃতকর্মের এবং জাহান্নাম থেকে নাজাতের।

মাহে রমজানে আল্লাহর নেক বান্দাগণ সিয়াম পালনের মাধ্যমে গোনাহ থেকে মুক্ত হতে পারে অনায়াসে। সাহরি, ইফতার, তারাবিহ, কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ এবং তাহাজ্জুদের মধ্যে লুকিয়ে আছে সওয়াব। আমরাও চেষ্টায় অবতীর্ণ হই, সময় আছে মাত্র কয়েকটি দিন।

‘আর যারা কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদের মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তিও লাঘব করা হবে না। এভাবেই আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে শাস্তি দিয়ে থাকি।’ (ফাতির ৩৬)

আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের শাস্তি সম্পর্কে এভাবে বর্ণনা করেছেন। একটু ভাবুন কি কঠিন অবস্থা হবে সেখানে। এই অবস্থায় অনন্তকাল থাকতে হবে। তাই নিজের কর্মের জন্য অনুতপ্ত হই এবং এই আগুনের শাস্তি থেকে পানা চাই।

অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আর একটি মুহূর্তও যাতে বিফলে না যায় তার জন্য সৎকর্মে নিয়োজিত হই। রমজানে নিজের ঘর থেকেই শুরু করুন, অধীনস্ত কাজের লোকদের কাজের ভার কমিয়ে দিন। এরাও রক্ত-মাংসে আমাদের মতোই মানুষ। এরাও যাতে রমজানের ফজিলত লাভ করতে পারে এর জন্য সুযোগ দিন। আল্লাহ তাআলা খুশি হবেন।

গরীবদের দান করুন, তাদের কষ্টের ভাগিদার হবার চেষ্টায় থাকি। উদ্দেশ্য একটাই আল্লাহর সন্তুষ্টি। যাতে লোক দেখানো কোন ঘটনা না ঘটে। অর্থ-সম্পদ, সুস্থতা সবকিছুই আল্লাহর পরীক্ষা। আল্লাহ দেখেন আমরা এগুলো কিভাবে ব্যবহার করি।

মুক্তির অবারিত সুযোগ পেয়েও যারা নিজেদেরকে মুক্ত করে নিতে পারলো না, তাদের চেয়ে হতভাগা আর কে? রমজানের বিগত দিনগুলো যাদের অবহেলায় কেটে গেছে, এখনও সময় আছে তাদেরকে শুধরে নেওয়ার।

এএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি