ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে মেদ ঝরানোর মন্ত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৮, ৯ আগস্ট ২০১৯

শুকনো ফল সাধারণত আমরা কম খেয়ে থাকি। কেউ কেউ মাঝে মাঝে এক-আধটু খাই। তবে পায়েস, পোলাও, হালুয়া নানা রান্নাতেই কাজু, কিশমিশ, বাদাম দেওয়ার চল রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে রান্না হওয়ার পর এসব শুকনো ফলে সেভাবে পুষ্টিগুণ অবশিষ্ট থাকে না। তেল-ঘিতে মিশে তা নষ্ট হয়ে যায়। এর চেয়ে সুস্থ থাকার জন্য রান্না না করে ড্রাই ফ্রুটস রাখুন প্রতিদিনের খাবারে। স্বাদের জন্য তো বটেই, সঙ্গে প্রয়োজনীয় এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ফাইবার ও নানা খনিজ রয়েছে এই ড্রাই ফ্রুটসে। যা স্বাস্থ্যের অনেক উপকারে আসে।

তবে স্বাদ ভাল বলেই মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস খেলেও বিপদ আছে। আবার এসব ডায়েট থেকে বাদ দেওয়াও মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

কী পরিমাণ খাব, আর কী কী খাব এটা জানা খুব প্রয়োজন। এর উপরেই নির্ভর করছে সুস্থতা। প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবারে ঠাসা এই ধরনের খাবার যেমন শরীরের মেদ ঝরাতে অনেকটা সাহায্য করে, তেমনই সুস্থতার ক্ষেত্রেও কাজে আসে।

পুষ্টিবিদদের মতে কী কী খাব এবং তার পরিমাণ কী হবে এসব জেনে নিন :

* বাদাম, কাজু, কিশমিশ, শুকনো খেজুর, পেস্তা, আখরোট, আমন্ড সব মিলিয়ে ৫০ গ্রামের মতো ওজন হয় এমন পরিমাণে নিন। বিকেল বেলার হালকা ক্ষুধা দূর করুন এটি দিয়ে।

* লবণ মিশিয়ে খাবেন না। কাঁচা লবণ তো নয়ই, এমনকি সল্টেড প্যাকেটও কেনা যাবে না।

* খালিপেটে খেজুর হজমশক্তি বাড়ায়। তাই বিকেলের খাবারে শুধু খেজুরও খেতে পারেন। দুই থেকে তিনটি খেজুর সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট।

* কিশমিশ ও কাজু মিশিয়ে খেতে চাইলে তখন ১০টি কাজু ও ৫টি কিশমিশ নিবেন।

* আমন্ড, পেস্তা ও আখরোট মিশিয়ে খেতে চাইলে এর ওজনের পরিমাণ রাখুন ৩০ থেকে ৪০ গ্রামের মধ্যে।

উপরোক্ত খাদ্যগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে আপনার শরীরে যেমন শক্তি যোগ হবে তেমনি শরীরের ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি