ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক আছে কিনা তা বুঝবেন কীভাবে?

প্রকাশিত : ১৯:১২, ৯ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৩১, ৯ এপ্রিল ২০১৯

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

জীবনের যে-কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারি কিনা? বর্তমান পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন জীবনে ভালো কিছু ঘটবে, আমার জন্যে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে এই বিশ্বাস মনের ভেতরে গেঁথে নিতে পারি কিনা? নিজের সামর্থ্য ও শক্তির ওপর আস্থা আছে কিনা?

যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারি কিনা এবং কী কী নেই তা নিয়ে হা-হুতাশ না করে যা আছে তা নিয়েই সুপরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করতে পারি কিনা?
সর্বাবস্থায় নিজের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে আচরণ ও কর্মপন্থা অবলম্বন করতে পারি কিনা?

জীবনদৃষ্টি যখন সঠিক হবে তখন আমরা সবকিছুতেই আশার আলো দেখতে পাব। আশা মানেই অগ্রযাত্রা, আশা মানেই সৃষ্টি। জীবন যে-কোনো পর্যায় থেকে শুরু করা যায়। যতক্ষণ শ্বাস আছে ততক্ষণ যেন আশার সলতেটা জ্বালিয়ে রাখতে পারি। এই আশাবাদ বা ইতিবাচকতা জীবনের ব্যাপারে, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে, পরিবারের ব্যাপারে এবং কর্মজীবনে অর্থাৎ সামগ্রিক জীবনে লালন করতে হবে।

পৃথিবীতে প্রতিটি ধর্মগ্রন্থই এসেছে মানুষকে সঠিক জীবনদৃষ্টির শিক্ষা দিতে, মানুষকে সত্য ও সাফল্যের সরল পথে পরিচালিত করতে।
জীবনদৃষ্টি সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে পরম করুণাময় বলেছেন, ‘ভেতর থেকে না বদলালে অর্থাৎ দৃষ্টিভঙ্গি না বদলালে আল্লাহ কোনো জাতি বা মানুষের অবস্থা বদলান না।‘
(রাদ : ১১)
পবিত্র ধম্মপদে বুদ্ধ বলেন, আমাকে বকেছে, আমাকে মেরেছে, আমার জিনিস কেড়ে নিয়েছে- এমন চিন্তা বা অভিযোগ যারা করে, ঘৃণা ও শত্রুতা তাদের চিরসঙ্গী হয়। আর যারা এরূপ চিন্তা করে না তাদের ঘৃণা ও শত্রুতা দ্রুত উপশম হয়।’ [যমকবগ্গো:৩-৪]
বোখারী শরীফের প্রথম হাদীস হচ্ছে-`ইন্নামাল আমালু বিন নিয়াত`। এটার অনুবাদ হচ্ছে `নিয়ত সকল কর্মের অঙ্কুর`। অমর কথাশিল্পী রুশ মনীষী লিও টলস্টয় সঠিক জীবনদৃষ্টির নাম দেন- ‘The Science of Living’ বা ‘জীবনযাপনের বিজ্ঞান’। তিনি বলেন, Most important of all the sciences one can and must have to learn is the science of living, so as to do the least evil and the greatest possible good.`
অর্থাৎ সব বিজ্ঞানের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যা একজনের অবশ্যই শেখা উচিৎ তা হলো, জীবনযাপনের বিজ্ঞান, যাতে করে সব থেকে কম ক্ষতি এবং সর্বাধিক সম্ভব কল্যাণ করা যায়।

স্রষ্টা আমাদের এক বিস্ময়কর জৈব কম্পিউটার ব্রেন দিয়েছেন। এই ব্রেন কম্পিউটারের চেয়ে মিলিয়ন টাইমস মোর পাওয়ারফুল। ব্রেন হলো কম্পিউটারের হার্ডওয়ার আর মন হচ্ছে সফটওয়্যার। মনই ব্রেনকে পরিচালিত করে। আর মন পরিচালিত হয় দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা। দৃষ্টিভঙ্গি যদি সঠিক হয়, তবে ব্রেনের নিউরোনে নতুন ড্রেনড্রাইট সৃষ্টি হয়ে নতুন বাস্তবতা উপহার দেয়। আর দৃষ্টিভঙ্গি যদি হয় ভুল বা নেতিবাচক তবে বাস্তবতা সৃষ্টি হয় ভুলের এবং অকল্যাণের।


এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি