ধূমপান ছাড়ার সাত উপায়...

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা হানিকর, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবুও প্যাকেটের গায়ে ‘ধূমপানে মৃত্যু ঘটে’ লেখা সতর্কীকরণ বার্তা দিয়ে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে এটি। মানুষ নেশায় পড়ে নিত্য সখ্য গড়ছে মারণঘাতি এ উপাদানের সঙ্গে।

তবে ক্ষতিকর দিক জেনে অনেকেই ধূমপান ছাড়তে পণ করেন। কিন্তু নানান চেষ্টার পরও অনেকে ধূমপান ছাড়তে ব্যর্থ হন বারবার। তাদের জন্য কিছু পরামর্শ-

দারুচিনি ও মধু

এক চামচ মধু ও দারুচিনি গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে পান করলে ধূমপানের নেশা কেটে যায়। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন, সিগারেটের নেশা কেটে যাবে।

হরিতকি

আয়ুর্বেদে আমলকি-হরতকি-বহেরা ত্রিফলা নামে পরিচিত।  এদের মধ্যে হরতকির রয়েছে নানা গুণ। স্বাদে তিঁতা হলেও, এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবলে ভরপুর। হরতকি অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। আয়ুর্বেদদের মতে, এক টুকরা হরিতকি মুখের মধ্যে রাখলে ধূমপানের ইচ্ছা চলে যায়। তাই ধূমপানের ইচ্ছা হলেই ৫-১০ মিনিটের জন্য মুখে নিয়ে নিন হরিতকির টুকরো।


গ্রিন টি

গ্রিন টি ধূমপানের নেশা ত্যাগ করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবে কফি পান করবেন না। কফির ক্যাফেইন মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে।

শুকনো আদা ও লেবু

লেবুর রসে আদার টুকরো ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সঙ্গে গোলমরিচ গুড়া মিশিয়ে নিন। এ মিশ্রণ ধূমপানের নেশা দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

যষ্ঠিমধু

ধূমপানের ইচ্ছা হলেই মুখে যষ্ঠিমধু নিয়ে নিন। যষ্টিমধু ধূমপানের ইচ্ছা দূর করে বলে প্রমাণিত।

ফল ও শাকসবজি

ধূমপান ছাড়ার পর নিয়মিত টাটকা ফল ও শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তবে চর্বিযুক্ত খাবার ও জাঙ্ক ফুড কম খান।

 পানি

ধূমপান ছেড়ে দেওয়া প্রথম কয়েক দিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। পানি শরীরের ভেতর নিকোটিনকে খুব দ্রুত বের করে দেয়।

সর্বোপরি ধূমপান ছাড়ার পর নিজের ব্যস্ততা বাড়িয়ে দিন। দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে কাজে মগ্ন হওয়ার চেষ্টা করুণ। দেখবেন কাজে দেবে।

সূত্র: ডেইলি মেইল।

//এআর