ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫

প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চায় মিলবে ৮ উপকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫১, ১৮ জুন ২০১৮

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

Ekushey Television Ltd.

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চা করার সময় মস্তিষ্কের ভেতরে ব্রেন ডিরাইভ নিউরোট্রপিক ফ্যাক্টর নামক এক ধরনের কেমিক্যালের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এটি ব্রেন সেলের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে বুদ্ধির জোরও বাড়তে শুরু করে। তাই হাতির মতো স্মৃতিশক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি চানক্যের মতো বুদ্ধির অধিকারি হতে চান, তাহলে নিয়মিত এক্সারসাইজ করা মাস্ট! প্রসঙ্গত, নিয়মিত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে কেবল ব্রেনের সাইজ বাড়তে থাকে, তেমন নয়! সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকারিতা। যেমন ধরুন-

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ৩০ মিনিট জিমে গিয়ে ঘাম ঝরালে হার্টের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে স্ট্রোক, মেটাবলিক সিনড্রম এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের খপ্পরে পরার সম্ভাবনাও কমে। শুধু তাই নয়, সার্বিকভাবে দেহের এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে কম করে ১৫০-১৬০ মিনিট শরীরচর্চা করলে স্লিপ কোয়ালিটির প্রায় ৬৫ শতাংশ উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিনিদ্র রাত্রি যাপনের আশঙ্কা কমে।

স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে

অফিসের চাপ, সেই সঙ্গে আরও নানা কারণে মনটা বেজায় খারাপ, তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই জিমে গিয়ে কিছু সময় একটু দৌড়-ঝাঁপ করে নিন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। আসলে শরীরচর্চা করার সময় শরীরে সেরাটোনিন এবং নোরেপিনেফ্রিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। এই দুটি হরমোনের মাত্রা দেহে যত বাড়িতে শুরু করে, তত স্ট্রেস লেভেল কমতে থাকে। সেই সঙ্গে অ্যাংজাইটি এবং দুশ্চিন্তাও দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না।

ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে

নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি হারে ওজন বাড়তে থাকলে একে একে শরীরে এসে বাসা বাঁধতে থাকে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো মারণ ব্যাধি। তাই তো ওজন যাতে কোনও মতেই মাত্রা না ছাড়ায়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি সফলভাবে করতে গেলে এক্সারসাইজ করা মাস্ট! কারণ ওজন কমাতে ঘাম ঝরাতেই হবে। আর ঘাম ঝরাতে গেলে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমে

নানা রোগের কারণে হওয়া ক্রণিক পেন কমাতে এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। আসলে শরীরচর্চা করার সময় দেহের সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি শরীরের বেতরের শক্তিও বাড়াতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি শরীরে বাসা বেঁধে থাকা যন্ত্রণা কমতেও সময় লাগে না। তাই এবার থেকে ঘারে, কোমরে অথবা পিঠে ব্যথা হলেই অল্প বিস্তর শরীরটাকে একটু নাড়িয়ে নিতে ভুলবেন না। এমনটা করল দেখবেন কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগবে না।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চা করার সময় ঘামের সঙ্গে শরীরের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে রক্তের সরবরাহ এতটা বেড়ে যায় যে স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণচ্ছ্বল হয়ে ওঠে।

পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ে

আমাদের বয়স যত বাড়তে থাকে তত পেশি এবং হাড়ের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্টিওপোরোসিস বা জয়েন্ট পেনের মতো রোগ এসে বাসা বাঁধে শরীরে। তাই তো সময় থাকতে থাকতে শরীরচর্চা শুরু করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শরীরচর্চার সঙ্গে হাড় বা পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধির কী সম্পর্ক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চার সঙ্গে সঙ্গে যদি নিয়মিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যায়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই পেশি এবং হাড়ের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

এনার্জির ঘাটতি দূর হয়

অনেকেই মনে করেন, শরীরচর্চা করলে ক্লান্তি বেড়ে যায়। কিন্তু এমনটা একেবারেই হয় না। বরং একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, টানা ৬ সপ্তাহ এক্সারসাইজ করলে ক্লান্ত লাগার প্রবণতা একেবারে কমে যায়। ফলে শরীর হয়ে ওঠে চনমনে। তাই ক্লান্তির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে যদি প্রাণচ্ছ্বল জীবন কাটাতে চান, তাহলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

একে// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি