ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪

বান কি মুনের জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৮, ১৩ জুন ২০২০ | আপডেট: ০৯:০৯, ১৩ জুন ২০২০

জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব বান কি মুনের জন্মদিন আজ। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অধিবাসীরূপে দ্বিতীয় এশীয় নাগরিক যিনি জাতিসংঘের মহাসচিব হয়েছেন। এর আগে এই অঞ্চল থেকে বার্মার উ থান্ট জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে ১ জানুয়ারি, ২০০৭ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মুন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ সালে তার প্রথম দফার মেয়াদকাল শেষ হয়। পরবর্তীতে কোনরূপ বিরোধিতা না আসায় ২১ জুন, ২০১১ সালে মুন দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

বান কি মুন ১৯৪৪ সালের ১৩ জুন কোরিয়ার উত্তর জাংজিয়ং-এর ইয়ামসিয়ংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে সিউল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বান কি মুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন এফ কেনেডি স্কুল অফ গভর্নমেন্ট থেকে ১৯৮৫ সালে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কোরিয়ান ভাষার পাশাপাশি তিনি ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় পারদর্শি। স্কুলে পড়ার সময় ১৯৬০ সালের প্রথমদিকে আমেরিকান রেডক্রস আয়োজিত একটি ইংরেজি ভাষা প্রতিযোগিতায় জিতেন বান কি মুন। সেই সুবাদে তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির সঙ্গে তার দেখা হয়। এই সাক্ষাতের পরই বান কূটনীতিক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।

বিদেশে তার প্রথম নিয়োগ হয় নয়াদিল্লীতে। তারপরই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র দফতরে জাতিসংঘ বিভাগে কাজ করেন। পার্ক চুং হি (Park Chung Hee)-এর গুপ্তহত্যার পর বান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের দক্ষিণ কোরিয়ার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের ফার্স্ট সেক্রেটারি পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৯১ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়া জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হয়। একই সময়ে বান কি মুন জাতিসংঘ বিভাগের পরিচালক পদে নিয়োগ পান। রিপাবলিক অফ কোরিয়ার ওয়াশিংটন ডিসির এমবাসিতে তিনি দু’বার নিয়োগ পান। ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্য বিষয়ক মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে বান কি মুন পলিসি প্ল্যানিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের ডেপুটি মিনিস্টার পদে উন্নীত হন। তার পরের বছরই তিনি রাষ্ট্রপতির ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

২০০৪ সালের জানুয়ারিতে বান কি মুন সাউথ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন। মন্ত্রীত্ব থাকাকালে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে নর্থ কোরিয়ান নিউক্লিয়ার ইস্যু সমাধানে কূটনীতিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। এ সম্পর্কে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত সিক্স-পার্টি আলোচনা অনুষ্ঠানেও বান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বান কি মুন ১ নভেম্বর ২০০৬ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন।

কোফি আন্নানের পর জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বান কি মুন তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব নির্বাচনের জন্য ইউএন সেক্রেটারি কাউন্সিলের চারবার ভোটাভুটি হয়। ২৪ জুলাই, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিটি ভোটাভুটিতেই বান কি মুন শীর্ষে ছিলেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি