ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৮, ১২ জুলাই ২০২১

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৩ সালের আজকের এই দিনে তিনি মারা যান।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দুপুরে পারিবারিকভাবে এতিমখানায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সৈয়দ ইশতিয়াক ১৯৩২ সালের ১৮ জানুয়ারি ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ জাফর আহমেদ দিনাজপুরের (পশ্চিমবঙ্গ) হিলির জমিদার ও ব্যবসায়ী ছিলেন। সৈয়দ ইশতিয়াক ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৬ সালে পালন করেন অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব।

ইশতিয়াক হিলির রামনাথ ইংরেজি হাইস্কুলে ও পরে কলকাতা মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পরিবারের সাথে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন ও ১৯৪৮ সালে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আই.এ., ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৫৪ সালে এম.এ. ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে বৃটেন যান এবং ১৯৫৮ সালে সেখানকার লিংকনস ইন থেকে বার-এট-ল এবং লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস্ থেকে অর্থনীতিতে এম.এসসি. ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৬০ সাল থেকে আমৃত্যু আইন পেশায় নিয়োজিত থাকা ব্যারিস্টার ইশতিয়াক ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন শাস্ত্রের খন্ডকালীন অধ্যাপক, ১৯৭২ সালে অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এবং ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের তৃতীয় এটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ৩০ মার্চ হতে ২৩ জুন পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ে এবং বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ১৬ জুলাই হতে ১০ অন্টোবর পর্যন্ত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।

তার নামে আইন সাংবাদিকতায় পদক চালু করা হয়েছে, যাতে প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরির প্রতিটিতে দু’টি করে মোট চারটি পদক দেয়া হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ ১৯৫৫ সালের জুনে সুফিয়া আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সুফিয়া আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান; পুত্র সৈয়দ রিফাত আহমেদ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং কন্যা রাইনা আহমেদ একজন চিকিৎসক।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি