মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সহযোগি জনতা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৭:৪২, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
জঙ্গি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জনতা এখন পুলিশকে সহযোগিতা করছে। আগে গ্রাম-মহল্লায় স্থানীয়রা যে সামাজিক কর্মকাণ্ড করতেন, এখন কমিউনিটি পুলিশ সেই কাজটি করেন। এখনকার পুলিশ আর দশ বছর আগের পুলিশ এক নয়।
শনিবার ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
‘জঙ্গি-মাদক প্রতিকারে জনতা পুলিশ এক কাতারে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে পুলিশের আট বিভাগ থেকে আটজন সদস্যকে ও বিট পুলিশিংয়ের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আগে এলাকাগুলোতে যে সামাজিক ব্যবস্থা ছিল, সেটা কমে যাওয়ার ফলে এখন সন্ত্রাস বাড়ছে। তিনি বলেন, দুই দফায় ইতিমধ্যে ৮০ হাজার পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে অনেক সুবিধা দিতে না পারলেও সমস্যাগুলো দূর করার জন্য কাজ চলছে।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং হলো জনগণের কাছে পুলিশের জবাবদিহি করা। দেশের জনগণের সঙ্গে থানা-পুলিশের দূরত্ব কমলেই কমিউনিটি পুলিশিং সফল হবে।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অপসংস্কৃতি নিবৃত্ত করাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ। কমিউনিটি পুলিশ সক্রিয় হলে মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাস, ইভ টিজিং ও বাল্যবিবাহ থাকবে না।
এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি সদর দপ্তরের সামনে থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শোভাযাত্রা বের করেন। সেটি কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আর/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন
