মিষ্টি কুমড়ো বিচির গুনাগুন
প্রকাশিত : ১৩:২২, ৪ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৩৫, ৪ জুলাই ২০১৭

পুষ্টিকর সবজি হিসেবে কুমড়া বেশ পরিচিত। মিষ্টি কুমড়োয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি এবং ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, কপার, ক্যারটিনয়েড।
এছাড়া আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই সবজি। রোগ প্রতিরোধ, চোখের যত্নে ও খাদ্য হজম ও ওজন কমাতেও মিষ্টি কুমড়ার রয়েছে অবদান।
এসবগুলোইতো মিষ্টি কুমড়োর বিষয়ে জানলাম, কিন্তু কুমড়ার বীজেও রয়েছে অসাধারণ গুন। এবার মিষ্টি কুমড়োর বীজের কিছু অসাধারণ গুণের কথা জেনে নেয়া যাক-
মিষ্টি কুমড়োর বিচির পুষ্টিগুণ:
কুমড়ার বীজে ওমেগা-৩ পুষ্টিগুণ থাকায় আপনার দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এজন্য মিষ্টি কুমড়োর বিচি ভালোভাবে পরিষ্কার করে একটু তেল ও লবণ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন।
বিচিতে রয়েছে, উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস, অনেক বেশী পরিমান জিংক। এটি প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, উদ্দীপকের উন্নয়নে, কোষের সঠিক বিভাজনে, ঘুম বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের রঙ এবং মেজাজ ভালো রাখতে কাজ করে। এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই খুবই উপকারী খাদ্য।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন, এই বিচিটি ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করার আশ্চর্য রকমের ক্ষমতা রাখে। এটির রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়োর বীজের বেশ সফলতা রয়েছে।
জার্মান একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, যেসব মহিলারা মেনোপজ অবস্থায় থাকেন তারা যদি বেশি করে মিষ্টি কুমড়োর বীজ খান তবে তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২৩ শতাংশ কম থাকে।
মিষ্টি কুমড়োর বীজের তেল প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়ার চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।
বীজ প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়োর বীজের প্রায় ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
হার্ট ভালোভাবে রক্ত পাম্প করতে সমর্থ হয়। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া দাঁত ও হাড় গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
কুমড়োর বীজে ট্রিপটোফ্যান নামে অ্যামাইনো এসিড থাকে যা রাতে আপনাকে ভালো ঘুম এনে দেবে। তাই একে প্রকৃতিপ্রদত্ত স্লিপিং পিল বলা হয়ে থাকে।
কুমড়ার বীজে প্রচুর প্রোটিনও রয়েছে। এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। এর দুটি সুবিধা পাবেন আপনি একদিকে আপনার ওজন কমবে, অন্যদিকে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
//আর//এআর