ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

যে ৫টি লক্ষণে বুঝবেন আপনার সংসার ঝুঁকির মুখে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০৩, ৩ এপ্রিল ২০১৮

বিয়ের মাধ্যমে একটি পরিবার জীবনের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত হয়। বিয়ের পরবর্তী জীবন নিয়ে অনেকেরই বিয়ের আগে এক ধরণের চিন্তাভাবনা থাকে। তবে অনেক সময়ই যখন সেই চিন্তাভাবনার সাথে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায় না তখন সংকট দেখা দেয়। আর আধুনিককালে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার অর্থ্যাত ডিভোর্স হওয়ার হারও অনেক বেশি। আপনার বিবাহিত জীবনও এমন ঝুঁকিতে আছে কী না তা এই ৫টি লক্ষণ থেকে বুঝতে পারবেন।

১) ঝগড়া

প্রতিটি সংসারেই টুকটাক ঝগড়াঝাটি হয়। তবে একই বিষয়ে বা একই ধরণের বিষয়ে যদি দিনের পর দিন ঝগড়া হতে থাকে তাহলে বিষয়টা উদ্বেগজনক। একে অপরের ওপর দোষারোপ করাও ভালো কোন লক্ষণ নয়। খুব ছোট ছোট বিষয় থেকে বড় বড় ঝগড়া যদি আপনাদের সংসারে প্রতিনিয়ত হতে থাকে তাহলে তা আপনাদের সংসার জীবনের ইতি টেনে আনতে পারে।

২) যোগাযোগ

যেকোন ধরণের সম্পর্কের জন্যই যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কিন্তু এই যোগাযোগ যদি আপনাদের মধ্যে যদি কমে আসে তাহলে সেদিকে নজর দিতে হবে। শেষ কবে নিজেদের মধ্যে ফিসফিসিয়ে প্রেমের আলাপ করেছেন মনে পড়ে কী?

বিয়ের কয়েক বছর পর অনেক দম্পতিই ‘কথা শুণ্যতা’য় ভোগেন। অর্থ্যাত একে অপরের সাথে আলাপ করার মত কথাই খুঁজে পান না অনেকে। এরজন্য চাইলে আপনার জীবনের প্রতিদিনকার নানান ঘটনা একে অপরের সাথে আলোচনা করতে পারেন। বাসা থেকে বের হয়ে অফিস যাওয়া অথবা অফিসের কোন মজার বিষয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা করতে পারেন। মোটকথা, যেভাবেই হোক, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগটা ধরে রাখতে হবে। রুটিনমাফিক কথার বাইরে কথা বলতে হবে। দেখবেন আপনাদের সম্পর্কটা আগের থেকে অনেক সহজ হবে।

৩) ঘনিষ্ঠতা

শুকনো কথায় যেমন চিড়ে ভেজে না। তেমনি শুধু কথায়ও সম্পর্ক সেই অর্থে টিকে থাকে না। আর তাই কথা বলার পাশাপাশি হতে হবে একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ। যৌনতা উপেক্ষা করার মত কোন বিষয় নয়। বরং বিয়ের মাধ্যমে যৌনতা সমাজে বৈধতা পায়। আর তাই এ বিষয়ে কোন সমস্যা অনুভব করলে খোলাখুলি আলাপ করা নেওয়াই ভাল। গবেষণায় দেখা যায় যে, সময় বাড়ার সাথে সাথে যে দম্পতির মধ্যে মেলামেশার পরিমাণ কমে যায় তাদের মধ্যেকার হৃদ্যতাও কমে যায়। তবে যারা বেশি নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ তাদের বৈবাহিক জীবন ততটা সুখের।

৪) আচরণগত পরিবর্তন

আপনার সঙ্গীর পরিবর্তিন আচরণ থেকেও বুঝতে পারবেন কেমন যাচ্ছে আপনাদের বিবাহিত জীবন। শুধু আপনার সঙ্গী না বরং আপনি নিজেও আপনার আচরণে পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। এমনও হতেই পারে যে, আপনি নিজেও হয়তো এই সম্পর্কের প্রতি টান অনুভব করছেন না। একে অপরের থেকে চাওয়া পাওয়ার আর কিছু থাকে না তখন। এমন সময় ফাটল ধরতে পারে আপনাদের সম্পর্কে।

৫) বিশ্বাস এবং সততা

একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ছাড়া কোন সম্পর্কই টিকে থাকতে পারে না। আর সেই সম্পর্কটি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারে যদি তা সততা নিয়ে করা হয়। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, বিশ্বাস আর সততা;এগুলোই যেকোন সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

এগুলোই যডি কোন একসময় ভেঙ্গে যায় তাহলে তা পুরো সম্পর্কের জন্যই ক্ষতিকর। আর এমনটা হলে সম্পর্কটিকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসা অনেকটাই অসম্ভব।

যদি এমনটা মনে হয় যে, আপনার সঙ্গী আপনার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছে তাহলে জেনে রাখুন এটিই আপনাদের সম্পর্কের শেষ পরিণতি আনতে পারে। আর তাই আপনার সঙ্গী আপনার থেকে কিছু লুকাচ্ছে কী না সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোন সন্দেহের উদ্রেগ হলে সরাসরি আলাপ আলোচনা করে নেওয়াই ভালো।

সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

//এস এইচ এস//

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি