ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

যে ৯টি পরিবর্তনে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৩৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

বয়স নিয়ে নারী-পুরুষ সবার মধ্যেই কমবেশি উৎকণ্ঠায় থাকেন।পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বেশ চিন্তিত থাকেন এই বিষয়টি নিয়ে।যতই চিন্তায় থাকুন না কেন বয়স সময়ের গতিতে বাড়ে।একে ফ্রেমে বাঁধা কিংবা আটকে রাখা যায় না।যদিও বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। বয়স বাড়ার গতি একটু কমানো কিংবা শরীরে বয়সের ছাপ যাতে দেরিতে আসে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা নানান গবেষণা করেছেন।

বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে,শারীরবৃত্তীয় ৯টি উপসর্গের মাধ্যমে বোঝা যায় আপনার বয়স বাড়ছে।স্পেনের বিজ্ঞানী ম্যানুয়েল সেরানো সে দলে আছেন।

তিনি বলছেন, একেকজন মানুষের বয়স বাড়ার লক্ষণ একেক রকম কিন্তু সবারই তো বয়স বাড়ছে।

গবেষণায় তাঁরা দেখেছেন, ‘মানুষসহ যেকোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর বয়স বাড়ার লক্ষণ প্রায় একই অর্থাৎ যেসব শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে তা প্রায় একই রকম।এর মধ্যে একটি হলো ডিএনএ’র ক্ষয়।আমরা যদি ডিএনএকে একটা সুতার মতো ধরি, তাহলে সেটির মাথায় একটি ক্যাপ বা ঢাকনা থাকে।যা আমাদের ক্রমোজমগুলোকে রক্ষা করে। এটা অনেকটা জুতোর ফিতার মাথা যেমন প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো থাকে।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঢাকনাগুলো আলগা হয়ে যেতে থাকে।ফলে আমাদের ক্রমোজমগুলোর কোনো সুরক্ষা থাকে না।’

বয়স বাড়ার সঙ্গে কোষের আচরণ বদলে যায়।শরীরের অভ্যন্তরে ডিএনএ এক্সপ্রেশন নামে একটি প্রক্রিয়া আছে যেখানে একটি কোষের মধ্যে থাকা হাজারও জিন নির্ধারণ করে ওই কোষের কার্যক্ষমতা, অর্থাৎ ওই নির্দিষ্ট কোষটি শরীরের ত্বক হিসেবে কাজ করবে না মস্তিষ্ক হিসেবে আচরণ করবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং জীবনযাপন পদ্ধতির কারণে সেই কোষের আচরণ বদলে যেতে শুরু করে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে আরেকটি পরিবর্তন হলো কোষ নবায়নের সক্ষমতা হারিয়ে যায়।ক্ষয়ে যাওয়া কোষের পরিমাণ যাতে না বাড়ে,সেজন্য আমাদের শরীরের ক্রমাগত নতুন কোষ তৈরির ক্ষমতা আছে।বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সেসব দক্ষতা কমে আসে।

আরেকটি পরিবর্তন হচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের কোষগুলো চর্বি বা চিনিজাতীয় উপাদানকে প্রসেস বা পরিপাক করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে।আবার কোনো কোষ যখন বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সেটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।কাজ বন্ধ করলেই কোষের মৃত্যু হয় না।

মাইটোকন্ড্রিয়া শরীরের কোষে শক্তি জোগান দেয়, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। তাছাড়া স্টেম সেলের শক্তি কমে যায়।যে কারণে তার পুনরুৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়।নবম পরিবর্তনটি হচ্ছে,নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কোষ।শরীরের মধ্যে সারাক্ষণই কোষেরা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে  কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই যোগাযোগ কমতে থাকে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতির মাধ্যমে বয়স বাড়ার গতিকে হয়তো কিছুটা দূরে রাখা যায়।(সূত্র: বিবিসি)

কেআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি