ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাতে ভালো ঘুম চাইলে মেনে চলুন এই ৬ উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সারাদিনের ঝক্কি ঝামেলার পর রাতে শান্তির এক ঘুম চাই আমরা সবাই। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকি। তবে যদি শান্তিতে রাতে ঘুমাতে চান তাহলে ছয়টি উপায় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ঘুম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. নেরিনা রামলক্ষন।

১) ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মাঝেই নাস্তা সেরে ফেলুন

প্রতিদিনের সকালের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাস্তা। আর ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মাঝেই নাস্তা সেরে ফেললে সেটি আপনাকে দেবে এক নতুন উদ্যম। এতে আপনার মেটাবলিজম রেট অর্থ্যাত খাদ্য হজমের হার বেড়ে যাবে যা আপনাকে ক্ষুধার অনুভূতি দেবে। এসময় সকালে অল্প পরিমাণে নাস্তার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

২) বেলা তিনটার পর ক্যাফেইন পরিহার করুন

সারাদিন সতেজ থাকতে আমরা অনেকেই ক্যাফেইন জাতীয় তরল গ্রহণ করি। কিন্তু যদি রাতে আরামের ঘুম চান তাহলে বেলা তিনটার পর পরিহার করুন চা ও কফি। ক্যাফেইন গ্রহণের পাঁচ ঘন্টা পরেও তা রক্তের সাথে মিশে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে, বিকেল পাঁচ টায় আপনি যদি এক কাপ চা বা কফি পান করেন রাত ১০টায় যখন ঘুমাতে যাবেন তখনও তার অর্ধেক আপনার রক্তে মিশে থাকবে। রক্তে থাকবে আর প্রতিক্রিয়া দেখাবে না তা তো হয় না, তাই না? কাজেই রাতে ভালো ঘুম চাইলে বিকেল ৩টার পর চা কফি পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

৩) ৯০ মিনিট পর পর প্রযুক্তি থেকে বিরতি নিন

বর্তমান সময়ে আমরা প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি পণ্য দিয়ে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। আমাদের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুতেই যেন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এরপরেও প্রতি ৯০ মিনিট পরপর কয়েক মিনিটের জন্য এসব প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিপণ্য থেকে বিরতি নিন।

এর ফলে শরীরের নার্ভ সিস্টেম বিশ্রাম পায়। শুধু তাই না, এই বিরতির ফলে শরীরের নার্ভ সিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ মানসিক অবস্থার জন্য তৈরি হয়। রাতে গভীর ও গাঢ ঘুম সেরকমই একটি অবস্থা।

৪) প্রতি ঘন্টায় একবার আসন ছেড়ে উঠুন

শারীরিক নড়াচড়ায় শরীরে অ্যাডিনোসাইন জাত রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থের জন্যই মানুষ ঘুম আচ্ছন্ন অনুভব করে। আর এর জন্য খুব বেশি শারীরিক কসরত আপনাকে করতে হবে না। প্রতি ঘন্টায় অন্তত একবার আসন ছেড়ে উঠে দাড়ান।

উঠে দাড়িয়ে সেরে ফেলুন সহজ কিছু ব্যায়াম। হাত উপরে উঠিয়ে টান টান করুন শরীরকে। খানিকটা ডান বামে সামনে পিছনে ঝুঁকেও করে ফেলুন হালকা কার্ডিও ব্যায়াম।

৫) বিছানায় যাওয়ার আগেই কাজ শেষ করুন

প্রতিদিনই কিছু না কিছু কাজ থাকে যা আমরা শেষ করতে পারি না। আর অনেকেই সেসব কাজ নিয়েই চলে যান বিছানায়। ছোটখাটো একটা অফিসে পরিণত হয় সাধের বিছানা। এমনটা করা যাবে না।

যদি কোন কাজ বাকি থেকেই যায় তাহলে তা পরের দিনের জন্য রাখুন। ঘুমের সময় ঘুম। একটি ট্যু ডু লিস্ট করুন। আর সেখানে কালকের দিনের কাজের তালিকার শুরুতেই আজকের কাজগুলো রাখুন। ঘুমের সময় এসব কাজ নিয়ে চিন্তা করলে ঘুম ভালো হবে না সেটাই স্বাভাবিক।

৬) মুছে ফেলুন ঘড়ি

সময় বা ঘড়ির প্রতি আবিষ্ট হয়ে থাকা ভালো কোন লক্ষণ না। কয়টায় ঘুম থেকে উঠলেন অথবা প্রতিদিন কত সময় ঘুমালেন সেটি নিয়েই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন তাহলে ঘুমাবেন কখন!

এরজন্য শোবার ঘরের ঘড়িকে এমনভাবে রাখুন যেন হঠাত করে ঘুম ভেঙ্গে গেলেও ঘড়ির দিকে চোখ না যায়।

অনেকেই আবার ঘুম পর্যালোচনার জন্য নানান অ্যাপস অথবা ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো যারা ব্যবহার করছেন তাদের প্রতি ড. নেরিনার পরামর্শ এই যে, এসব অ্যাপস ও ডিভাইসের ফলে আপনি হয়তো আরও দুশ্চিন্তায় থাকবেন। এছাড়াও এসব অ্যাপস ও ডিভাইসের তথ্য শতভাগ নির্ভুলও নয়।

সূত্রঃ ডেইলি মেইল

//এস এইচ এস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি