ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সন্তানের বুদ্ধি যাচাই করার উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সন্তানকে নিয়ে অভিভাবকদের কতই না স্বপ্ন থাকে। আর সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ চান সব বাবা-মা’ই। তেমনি সন্তান হয়ে উঠুক বুদ্ধিমান এটাও প্রত্যাশা সকল অভিভাবকের। শিশুর জন্মের পর থেকেই তার নানা স্বভাব ও অভ্যাস থেকে আন্দাজ পাওয়া সে কতটুকু বুদ্ধিমান। সন্তানের নানা কাজকর্মের দিকে একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে তার মধ্যে বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার কোনও বৈশিষ্ট্য আছে কি না।

কথা বলতে শেখা

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, এক বছর বয়সের মাথায় শিশুরা দু’একটা কথা বলতে শেখে। দেড় বছরের মাথায় তা আরও স্পষ্ট হয়। যদি সন্তানের মুখে এই সময়ের আগেই খই ফুটতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে সে বুদ্ধিমান। তার শেখার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি।

পরিচিত ব্যক্তি

বুদ্ধিমান শিশুদের মাঝে ছোট থেকেই যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষমতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এরজন্য অচেনা অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে শিশুরা।

একগুঁয়ে

খুব একগুঁয়ে হওয়া যেমন সমস্যার, তেমন শিশুর কিন্তু একটু-আধটু জেদ থাকাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে, একগুঁয়েমি না থাকলে শিশুর নিজস্ব বিচার ক্ষমতা ও দৃঢ়তা তৈরি হয় না। বুদ্ধি তৈরিতে এই দুই-ই তো প্রয়োজন।

বসতে শেখা

শিশুদের বসতে শেখা, হামাগুড়ি দেওয়া, দাঁড়াতে শেখা— প্রত্যেকটিরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। আপনার সন্তান যদি সেই সময়ে পৌঁছনোর কিছু আগেই সেসব শিখে ফেলে তাহলে তা বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার অন্যতম লক্ষণ।

১৫ মিনিটেরও বেশি সময়

চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, যে কোনও খেলনা বা পছন্দসই বিষয়ে যে কোনও সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন শিশুর একটানা মনঃসংযোগ থাকার সময়সীমা ১৫ মিনিট। কিন্তু আপনার সন্তান যদি কোনও একটি খেলনা বা  আঁকার বই নিয়ে একমনে মেতে থাকতে পারে ১৫ মিনিটেরও বেশি তা হলে সে ‘ফোকাসড’।

প্রশ্ন করা

কথায় কথায় প্রশ্ন করাতে অনেকেই উত্যক্ত হতে পারে। কিন্তু সব বিষয়েই কী-কেন-কীভাবে— এ সব প্রশ্ন যদি সন্তানের মুখে লেগে থাকে তাহলে বিরক্ত না হয়ে আনন্দিত হওয়া উচিত অভিভাবকের। কৌতূহলী শিশু মানেই, ধরে নেওয়া হয় তার বুদ্ধি অন্যদের চেয়ে বেশি।

//এস এইচ এস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি