ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ে ওঠে যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪০, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

দাম্পত্য জীবন মানে দু’জন মানুষের একসাথে বাকী জীবনটুকু কাটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। এই সম্পর্কের জন্য দু’জনের মাঝে পারস্পরিক বোঝাপড়ার পাশাপাশি থাকা দরকার বন্ধুত্ব।

তবে সুখী দাম্পত্যের মাঝে কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। জেনে নিন যে অভ্যাসগুলো আপনার দাম্পত্য জীবনকে সুখী করবে।

অবসর সময় কাটানো: বিয়ের সম্পর্কের মাঝে সবসময় আবেগ থাকবে এমনটা নয়। বরং একে অন্যের অবসরের সময়গুলো ভাগ করে নেওয়া, একসাথে কাটানো, বিনোদনের সঙ্গে থাকা ইত্যাদির মাঝেও থাকে অব্যক্ত ভালোবাসা, বোঝাপড়া। আপনার মনের মানুষটি প্রিয় লেখকের গল্পের বই পড়ছেন, আপনি কিছু ছোলা, বাদাম, বুট নিয়ে আপনার পছন্দের কোনো বই নিয়ে বসে পড়ুন তার কাছে। একসাথে বই পড়ার সময় বা খাওয়ার সময় গল্প করুন। এতে সম্পর্কের ভিত গভীর হয়।

একে অন্যের প্রশংসা করা: খুব ছোট্ট করে জীবন সঙ্গীটার কোনো কাজের জন্য প্রশংসা করুন। প্রশংসা করার ব্যপারটা খুব সাধারণ মনে হলেও এই সামান্য কাজটিই খুব অসাধারণ! মনে রাখবেন, কারোর কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া এবং টাকা পাওয়া মনের উপর একই ধরণের প্রভাব ফেলে থাকে!

আমি তোমাকে ভালোবাসি : বনি উইন্সটন-এর মতে, দিনের শুরুতে অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজ সঙ্গীকে ভালোবাসি বলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিন শব্দের এই বাক্যটি ছোট হলেও অটুট বন্ধনের জন্য খুবই কার্যকর। সুস্থ সুন্দর সম্পর্কে থাকা প্রতিটি মানুষ একে অন্যকে বলা উচিত।

একে অন্যকে ধন্যবাদ দেওয়া : জীবনসঙ্গীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা দরকার। মনে রাখবেন শুধু কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনই নয়, এর মাধ্যমে তার প্রতি নিজের ভালোবাসাও প্রকাশিত হয়। ধন্যবাদ জানানোর জন্য স্পেশাল কোনো কাজের প্রয়োজন নেই বা খুব বড় কোনো কারণ খোঁজার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনের ঘরের কাজ, নিজের কাজের জন্যই একে অন্যকে ধন্যবাদ জানানো যায়। সঙ্গী মানুষটি হয়তো ঘর ঝাড়ু দিচ্ছেন, ঘর গোছাচ্ছেন কিংবা চা বানাচ্ছেন। তাকে সুন্দর করে ধন্যবাদ জানান। ‘আস্ক ফর হোয়াট ইউ ওয়ান্ট এন্ড গেট ইট’ বইয়ের লেখিকা গ্লিডা কার্লা বলেন, জীবন সঙ্গী প্রাত্যহিক জীবনের ছোটখাটো কাজের জন্য যে অবদান রাখেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করাটা জরুরি।

একে অন্যের হাত ধরে থাকা: কোনো অনুষ্ঠানে কিংবা হাঁটতে বের হলে একে অন্যের হাত ধরে থাকুন এতে সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশিত হয়। সঙ্গীকে শুধুমাত্র স্পর্শ করার মাঝে অথবা তার সংস্পর্শে থাকার মাঝেও মানসিক এবং শারীরিকভাবে তার সাথে সংযুক্ত থাকা যায়।

একসাথে হাসা : ডাক্তারের কাছে যাওয়া, দাওয়াতে অথবা অফিস শেষে ঘরে ফেরার পথে নিজেদের জন্য খাওয়ার কিছু নিয়ে আসুন। এই অভ্যাসগুলো কারোর আলাদাভাবে তৈরি করে নিতে হয় না। একসাথে আনন্দিত হওয়ার মতো উপলক্ষ খুঁজে বের করুন। সেটা হোক কোনো মজার সিনেমা একসাথে দেখা অথবা একসাথে রান্না করা।

একে অন্যের প্রয়োজনগুলো শোনা : ডাক্তার কার্লা বলেন, সুস্থ সুন্দর সম্পর্কের যুগলেরা একে অন্যের সত্যিকারের অনুভূতিগুলো সরাসরি বলার প্রতি জোর দিয়ে থাকেন। তারা নিজেদের অনুভূতিগুলো একে অন্যের সাথে খোলামেলাভাবে প্রকাশ করে থাকেন। এতে একটি দাম্পত্য সম্পর্কের মাঝে কোনো লুকোছাপা থাকে না। তারা একে অন্যের কাছে মনের ইচ্ছা, মতামত, আকাঙ্ক্ষা সোজাসাপ্টা ভাবে প্রকাশ করে থাকেন।

 

আর/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি