ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

হাওয়াই দ্বীপে আগ্নেয়গিরিতে প্রকৃতির খেলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০, ২০ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৫৫, ২৭ মে ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কিলাওয়েয়া হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে ওঠে। জ্বালামুখ থেকে উদগীরণ হতে থাকে টগবগ করে ফুটতে থাকা লাভা, ছাই, ধোয়ার কুণ্ডলী আর গ্যাস।
দু’সপ্তাহ পর এখনও অগ্ন্যূৎপাত। এই আগ্নেয়গিরির নাটকীয় কিছু ছবি এর পর থেকে বিস্ময় তৈরি করেছে অনেকের মধ্যে।
আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ তামসিন মাথার ও ডেভিড পাইল আগ্নেয়গিরির নাটকীয় এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করেন।
জানা গেছে, হাওয়াই দ্বীপের সবচেয়ে শক্তিশালী আগ্নেয়গিরি হল এই কিলাওয়েয়া। ১৯৮৩ সাল থেকে এর পূর্ব অংশ থেকে সারাক্ষণই লাভা বের হয়। সেই লাভার ঝরনা আর তার স্রোতে ১৪৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চাপা পড়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার সড়ক ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আগ্নেয়গিরিটির কারণে দ্বীপের সাথে নতুন জমিও তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালে গ্যাস বের হওয়ার নতুন মুখ তৈরি হতে থাকে।
কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখে রীতিমতো লাভার লেক তৈরি হয়ে গেছে।
এ বছরের মার্চ ও এপ্রিলে বন্যার পানির মতো গনগনে সেই লাভার উচ্চতা বাড়তে থাকে। আবার কয়েক সপ্তাহ পর আবার তা নেমে যায়।
কিলাওয়েয়ার লাভাকে বলা হয় বিশ্বের সবচাইতে গরম। জ্বালামুখের আশপাশে রয়েছে নালার মতো। সেগুলো থেকে ধীরে ধীরে যখন লাভার স্রোত নামতে থাকে তার উপরের অংশে আস্তরণ তৈরি হয়। কিন্তু নিচের দিকে ঠিকই চলে লাল গনগনে লাভার স্রোত। একই সঙ্গে আস্তে আস্তে স্তর পরে যাওয়া কালো শুকনো লাভা সামনে এগুতে থাকে। মনে হয় যেন সিমেন্টের ব্লক কিন্তু অনেক বেশি কালো তার রঙ। তার নিচে ধ্বংস হতে থাকে জমি। কখনো স্তর ভেঙে বেরিয়ে আসে নতুন সরু ধারা।
ভূতাত্ত্বিকরা ১৯৯২ সাল থেকে কিলাওয়েয়া আগ্নেয়গিরির উপর নজর রাখছেন। কিভাবে পৃথিবীর মাটির আবরণের নিচে এর কার্যক্রম চলে সে সম্পর্কে তাদের বেশ ধারনা হয়েছে। তাদের মতে উদগীরনের ধাপে ধাপে ভূপৃষ্ঠে নতুন ফাটল দেখা দেয়। এর কোনটা দিয়ে গরম গ্যাস বের হয়। আবার কোথাও থেকে জ্বলন্ত লাভা।
ধীরে ধীরে লাভা লেকে লাভার উচ্চতা কমতে থাকে এবং তা ভূপৃষ্ঠের পানির স্তরে নেমে যায়। এসময় বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভূপৃষ্ঠের পানির সঙ্গে মিশে গেলে ধোয়ার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তৈরি হওয়া গ্যাসে থাকে সালফার ডাই-অক্সাইড। যা বাতাসের মান নষ্ট করে দেয়। তার ফলে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ে।
আগ্নেয়গিরি নিয়ে বহু গবেষণা হলেও এর অনেক আচরণ এখনো সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেয়া যায় না।

সূত্র : বিবিসি।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি