ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

৩ টি কাঁচা মরিচে দূর হবে পেটের অসুখ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত দুই থেকে তিনটে করে কাঁচা মরিচ খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগসহ বিভিন্ন একাধিক রোগও দূরে হয়ে যাবে। কেননা কাঁচা মরিচে ডায়াটারি ফাইবার, সোডিয়াম, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ফলেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, কে, বি৬, পটাসিয়াম, কপার এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো উপাদান উপস্থিত রয়েছে। সুতরাং কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন, তবে অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে পেটের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

১) হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : কাঁচা মরিচ খাওয়া মাত্র শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি স্যালাইভার উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়, যে কারণে হজম ক্ষমতার এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে গ্যাস, অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যা দূরে পালায় চোখের পলকে।

২) মন-মেজাজ চাঙ্গা হয়ে ওঠে : বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ খেলে শরীরে এন্ডোরফিন নামক একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে স্ট্রেসের প্রকোপ যেমন কমতে শুরু করে, তেমনি মন-মেজাজও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ফলে মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় পরার আশঙ্কা যায় কমে।

৩) রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : মরিচ রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন, যা দেহে প্রবেশ করা মাত্র রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

৪) সাইনাসের মতো রোগ দূরে পালায় : মরিচ উপস্থিত ক্যাপসিসিন মিউকাস মেমব্রেনের ভিতরে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঠাণ্ডা লাগার কারণে হওয়া নানবিধ শারীরিক সমস্যা যেমন কমে যায়, তেমনি সাইনাস ইনফেকশনের কষ্ট কমতেও সময় লাগে না। তাই যারা ঠাণ্ডা পরলেই খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেতে ভুলবেন না।

৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে : আসলে কাঁচা মরিচ সবজি না ফল এই নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিশেষজ্ঞরা একটা বিষয় মেনে নিয়েছেন যে প্রতিদিন কাঁচা মরিচ খেলে হজম ক্ষমতা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলেরা এত মাত্রায় গলতে শুরু করে যে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে একেবারেই সময় লাগে না।

৬) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে : একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়া শুরু করলে ইনসুলিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না। ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

৭) শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে : আসলে এই উপাদানটি স্বাদ গ্রন্থিকে অ্যাকটিভ করে তোলার পাশাপাশি মস্তিষ্কের হাইপোথেলামাস অংশকে অতি মাত্রায় সচল করে তোলে। ফলে শরীরের তাপমাত্র এতটা কমে যায় যে গরমের খারাপ প্রভাব দেহের উপর পরার আশঙ্কা একেবারেই থাকে না। এই কারণেই তো আমাদের দেশ গরমকালে নানাভাবে কাঁচা মরিচ খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

৮) ক্যান্সারের থাকে : প্রতিদিনির ডায়েটে কাঁচা মরিচ রাখলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই উপাদানটি দেহে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে একেবারেই সময় নেয় না। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৯) ব্যথা কমে : আসলে মরিচে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান দেহের ভিতরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমতে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং আলসারের মতো রোগকে দূরে রাখতেও কাঁচা মরিচ বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০) হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা মরিচে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

১১) ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় : মরিচে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন। এই দুটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর বলিরেখা গায়েব হতে শুরু করে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই।

কেএনইউ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি