ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২১:৫৩, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন তার আইনজীবীরা। তার পক্ষে সর্বমোট ১০ দিনে পাঁচ আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে ১০ম দিনে খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন বিএনপি নেতা মওদুদ। তার যুক্তির উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন। এদিন সকাল ১১টা ৩৭মিনিটে আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিএনপি নেত্রীর পক্ষে যে পাঁচ আইনজীবী খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তারা হলেন- ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আব্দুর রেজাক খান।

যুক্তি উপস্থাপন শেষে মওদুদ বলেন, আইনের অপব্যাবহার করে’ দুদকের দায়ের করা এ মামলা শুরুতেই খারিজ করে দেওয়া উচিত ছিল। এরকম মামলায়  খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা ‘বাড়বে’ এবং তিনিই ‘হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী’ বলে মন্তব্য করেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে খালেদা জিয়ার ‘নিঃশর্ত ও সম্মানজনক খালাস’ চান তিনি।

আজ খালেদার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে মামলার অপর আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবীরা। আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বুধবার ও বৃহস্পতিবারও সময় আছে।

যুক্তিতর্ক শুনানির প্রথম দিন গত ২০ ডিসেম্বর এ মামলায় দুর্নীতি দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন। এরপর দশ কার্যদিবস খালেদার আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপন চলে। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলেই নয় বছর আগে দুদকের দায়ের করা এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসবে। 

বকশীবাজার কারা অধিদফতরের মাঠে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের এই আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলারও বিচার চলছে। ওই মামলাও এখন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক পর্যায়ে রয়েছে।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট (দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে) দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ঢাকার বকশিবাজারে বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। খালেদার পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে দুই মামলায় তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। বুধবার ও বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আসতে পারবেন না বলেও তারা আদালতকে জানান। তবে আদালত তাদের সে আবেদন নাকচ করে দেন।

১৯ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এ দিন রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। ২০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এরপর ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ , ৪, ১০ ,১১ ও ১৬ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে যুক্ত উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়া এ মামলায় জামিনে আছেন। তারেক রহমান গত নয় বছর ধরে দেশের বাইরে, তার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন কারাগারে।

 

আর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি