ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘ফেসবুক গণতন্ত্রের জন্য হুমকি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮

ফেসবুকসহ সব ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে স্বীকার করেছে সোস্যাল কম্যিউনিকেশন জায়ান্ট ফেসবুক। তবে প্রতিষ্ঠানটি এ সমস্যা মোকাবেলায় উদ্যোগ নিবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

গত সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে ফেসবুকের সদস্য সম্পৃক্ততা বিষয়ক প্রধান সামিদ চক্রবর্ত্তী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্রুত প্রসারণের ফলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। সামিদ এমন সময় বিষয়টি স্বীকার করলেন, যখন গোটা পৃথিবীজুড়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ সরবরাহের অভিযোগ আসছে। আর আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটি সদস্যের মধ্যে ভুয়া সংবাদ প্রবাহ বন্ধ করতে না পারার ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে।

বিশেষ করে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। এরপর ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ সরবরাহের বিষয়টি সামনে চলে আসে।

ফেসবুক পোস্টে সামিদ চক্রবর্ত্তী বলেন, ইন্টারনেটের কারণে কি কি ক্ষতি হতে পারে, এ বিষয়ে আমরা অজ্ঞ নয়। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্রুত প্রসারণের ফলে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসন পদ্ধতি-গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে আমরা বিষয়টি ভাল করে অনুধাবন করতে পারিনি। তবে আমরা ধীরে ধীরে এ সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি ফেসবুককে কিভাবে নিরপেক্ষ রাখা যায়, সে বিষয়ে নজর দিয়েছি।

এর আগে গত সপ্তাহে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ঘোষণা করেন, তারা ভুয়া সংবাদ গুলিকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, ভুয়া সংবাদ সনাক্তে উচ্চ পর্যায়ের কয়কটি টিম গঠনের কথাও বলেন তিনি। এর আগে তিনি ঘোষণা করেন, ফেসবুক নিজে থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদগুলিকে বোস্টিং করবে। তাছাড়া যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ওই সংবাদ গুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন ফেসবুক জায়ান্টের এ কর্ণধার।

ফেসবুক, গুগল ও টুইটারসহ আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ব্রেক্সিট ভোট ও বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে ভোটের আগে রাশিয়া এমন কাজ করছে বলে গোটা বিশ্ব প্রশ্ন তোলেছে। জানা যায়, রাশিয়া থেকে পাঠানো ৮০ হাজার পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ১২৬ মিলিয়ন (১২ কোটি ৬০ লাখ) মানুষের কাছে পৌঁছায়। যার অধিকাংশ পোস্টই ছিল ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

চক্রবর্ত্তী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর যে, একটি জাতি আমাদের এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে সমাজকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। এটি আমাদের জন্য নতুন একটি হুমকি, যা আমরা কখনোই চিন্তা করিনি। তবে এখন আমাদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।

সুত্র: এএফপি
এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি