ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

যৌতুকের মামলা থেকে ক্রিকেটার সানিকে অব্যাহতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২১, ৩০ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২১:৩৪, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

(ফাইল ফটো)

(ফাইল ফটো)

নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলা থেকে ক্রিকেটার আরাফাত সানি এবং তার মা নার্গিস আক্তারকে অব্যাহতি দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার ঢাকার  ৪নং নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাবাসুম ইসলাম তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন

এর আগে গত ১৭ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াহিয়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরাফাত সানি এবং তার মাকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আরাফাত সানির সঙ্গে মামলার বাদীর যে বিবাহ হয়েছে তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সানি ও নাসরিন যে রেস্টুরেন্টে বিয়ে করেছেন তারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সানির মা নার্গিস সুলতানা বাদীকে মারধরের কথা বলেছেন তারও কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, যেহেতু মামলার বাদী ভুল তথ্য প্রদান করে মামলা দায়ের করেছেন, তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধিত ২০১৩) এর ১১(গ) ৩০ ধারা মতে, আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বরে ক্রিকেটার আরাফাত সানির সঙ্গে পাঁচ লাখ এক টাকা দেনমোহরে নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর সানি নাসরিনের কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকার জন্য সানি তার স্ত্রীকে মারধর করেন এবং ভাড়া বাসায় রেখে যান।

পরবর্তীতে নাসরিন সানির সঙ্গে দেখা করলে সানি তাকে বলেন, যৌতুকের টাকা না দিলে আমার মা তোমার সঙ্গে সংসার করতে দেবেন না এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমার পরিণতি খারাপ হবে। কারণ, তোমার অশ্লীল ছবি আমার মোবাইলে রয়েছে।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, নাসরিনকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সানির মা বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, তোর সঙ্গে আমার ছেলে সংসার করবে না। এ অবস্থায় বাদী তার বাসায় চলে যান।

ওই ঘটনায় গত চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ক্রিকেটার আরাফাত সানি ও মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেন নাসরিন সুলতানা। এর আগে ভিন্ন ধারায় আরও দুটি মামলা করেন নার্গিস।

আদালত মামলাটি এজাহার হিসাবে নেওয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে।

 

আর/এসএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি