ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নির্বাচন নিয়ে আলোচনার কিছু নেই : ইনু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৭, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৩০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা পরে হবে। সেটা রুটিন কাজ। পাঁচ বছর পর পর আমাদের জীবনে ভোট আসবে, ভোট করবেন। সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। কে ক্ষমতায় গেলো আর না গেল সেটা বড় কথা নয়। বাংলাদেশের রাজনীতি খুনি মুক্ত হবে কিনা, দুর্নীতিমুক্ত হবে কিনা সেটাই বড় কথা। বেগম খালেদা জিয়া ভোটে আসবে  কিনা সেটা নিয়ে এত মাথা ব্যাথার কিছু নেই। আমি খালেদা জিয়াকে দেখতে চাই পোড়া মানুষের খুনের জন্য কারাগারে।    

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স  লাউঞ্জে মাওলানা ভাসানীর ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিজয় দিবসের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাওলানা ভাসানী সাধারণ মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। তাদের জন্য সব সময় ছিলেন সোচ্চার। তিনি ধার্মিক ছিলেন কিন্তু কখনো ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেননি। তিনি সারা জীবন দারিদ্র, দূর্নীতি, জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এসব থেকে এখন আমাদের মুক্তি চাইলে ভাসানীর মতো ভূমিকা রাখতে হবে।

হাসানুল হক ইনু বলেন, যে রাজাকারদের একাত্তরে পরাজিত করেছিলাম। এবং যাদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতির বুক থেকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেই রাজাকার জঙ্গি জামাত ও তার দোসর খালেদা জিয়ার এমপি মন্ত্রীকে ঐ ডাস্টবিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি যদি খারাপ হয়, জঙ্গীর সঙ্গি খালেদা কেন ভাল হবে।

গণতন্ত্রে খালেদা জিয়ার স্থান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে মিটমাট করার চেষ্টা করছেন। খালেদা জিয়ার পিঠ চাপড়াচ্ছেন, তারা প্রকারান্তরে জঙ্গিদের সঙ্গে মিটমাট করার চেষ্টা করছেন। জামাতের সঙ্গে মিটমাট করার চেষ্টা করছেন। গনতন্ত্রে রাজাকার, জঙ্গি, জামাত বা তার সঙ্গী খালেদা বিএনপির কোনো জায়গা নেই। বেগম খালেদা জিয়া নিজে রাজাকারের সঙ্গে জোট বেঁধে জঙ্গির সঙ্গে খাতির করে, জামাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গণতন্ত্রের ঘর থেকে এক তরফা টিকিট কেটে বের হয়ে চলে গেছেন। এই গণতন্ত্রের ঘরে ফেরত আসতে হলে ওনাকে শুধু ওদের ছাড়লেই হবে না একই সঙ্গে ওনাকে ঘোষণা দিতে হবে সংবিধানের চার মূলনীতি মানে,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ঘোষণা মানে, ২৫ মার্চ রাতের হত্যাকে মানে, ৩০ লক্ষ্য শহীদ মানে। এই চারটা ঘোষণা ছাড়া খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জন্য সব সময়ের জন্য বিপজ্জনক।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশে জঙ্গি উৎপাদন পুনরায় শুরু হবে। সকল খুনিদের ঠিকানা এবং একমাত্র  আস্তানা হলো বিএনপি। যারা খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ময়দানে টিকিয়ে রাখার জন্য দেন দরবার করে বেড়াচ্ছেন তারা আল্লার ওয়াস্তে ক্ষ্যান্ত হোন। খুনির পক্ষে কোনো ওকালতি করবেন না।

বিএনএফ এর প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ এমপি এর সভাপতিত্তে অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

 

 

 

এসি/  

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি