ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

দেহঘড়ি

মন ও মস্তিষ্ক: চির অচ্ছেদ্য এক বন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

মন ও মস্তিষ্কের বিচিত্র সম্পর্ক আর এ দুয়ের পারস্পরিক প্রভাব নিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচালিত হয়েছে অসংখ্য গবেষণা। এ গবেষণায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর ও ম্যাসাচুসেট্স জেনারেল হাসপাতালের মাইন্ড বডি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হার্বাট বেনসন। এ বিষয়ে তার রয়েছে ১৭৫ টি গবেষণা-প্রতিবেদন এবং ১১টি বই। যার মধ্যে দু’টি উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে ‘ট্রেইন ইয়োর ব্রেন চেঞ্জ ইয়োর মাইন্ড’ ও  ‘দি মাইন্ড বডি ইফেক্ট’।

মন যেহেতু মস্তিষ্ক ও মাস্তিষ্কের কাজকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে, নিরাময় ও সুস্থতার জন্যে এই মন নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব তাই অনেক বেশি। সাধারণভাবে আমরা অধিকাংশ মানুষই মনকে আমাদের কথা শোনতে পারি না, মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারি না, সেক্ষেত্রে অবস্থাটি দাঁড়ায় ‘মনের আমি’, আর একজন সত্যিকারের সাধক বা প্রজ্ঞাবান যিনি, তিনিই শুধু বলতে পারেন- ‘আমার মন’।

মন ও দেহ আসলে মানুষের জন্মসূত্রেই অবিচ্ছেদ্য আর পরস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। একে চাইলেও আলাদা করা যায় না। দেহ ও মন পরস্পর স্নায়ুগুচ্ছ ও বার্তাবাহক রাসায়নিক অণু (নিউরোট্রান্সমিটার) দ্বারা সারাক্ষণ সংযোগ রেখে চলছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত আমাদের দেহে প্রায় ৬০ ধরনের বার্তাবাহক রাসায়নিক অণু আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।

মন ও দেহের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে ব্রেনের হাইপোথ্যালামাস। এই হাইপোথ্যালামাস বার্তাবাহক রাসায়নিক অণু নিঃসরণের মাধ্যমে দৈহিক অবস্থাকে প্রভাবিত করে। যেমন, কোনো কারণে আপনি মনে ভীষণ কষ্ট পেলেন। আপনজন কষ্ট দিয়েছে। আপনি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না। কষ্ট ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে।

আপনি কষ্ট পেলেন, এটি মনের বিষয়। এই কষ্টের তথ্য অবচেতন মনের মাধ্যমে আপনার ব্রেনের হাইপোথ্যালামাসে পৌঁছে গেল। তখন কী ঘটে? হাইপোথ্যালামাস থেকে কষ্টের বার্তাবাহক রাসায়নিত অনু নিঃসৃত হয় এবং তা আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে এবং হৃদযন্ত্রে। তেমনিভাবে রাগ ক্ষোভ দুঃখ হতাশা বিষন্নতার মতো নেতিবাচক আবেগের প্রতিক্রিয়াতেও একই ধরনের বার্তাবাহক রাসায়নিক অণু শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত করে হৃৎপিণ্ডকেও। যার অন্যতম পরিণতি করোনরি হৃদরোগ।

 

এম/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি