ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মুকুল ও সেলিম কারাগারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৫, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরে নাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় তোফায়েল আহমদের ভাতিজা ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মো. রাকিব হাওলাদারকে গুলি করে হত্যা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান সেলিমকেও কারাগারে পাঠানো আদেশও দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এদিন আসামি মুকুলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আল-আমীন তালুকদার।

আর সোলায়মান সেলিমকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের। আসামিপক্ষের আইনজীবী খায়ের উদ্দিন শিকদার ও শ্রী প্রাণ নাথ জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে এবং জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তবে সোলায়মান সেলিমের মামলার মূল নথি না থাকায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে ২৭ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি মুকুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গুলিতে নিহত হয় নাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। একইদিন গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে সোলায়মান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। তিনি হাজী মো. সেলিমের ছেলে। তার বাবাও গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সকালে চাঁনখারপুল মোড়ে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে মো. রাকিব হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়ার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। পরে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে চকবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি