ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

ফণীর বিদায়ে শ্রমিকের হাসিমাখা মুখ

প্রকাশিত : ১২:২০, ৫ মে ২০১৯

প্রচুর ভয়-ভীতি দেখিয়ে আর ক্ষয়ক্ষতি করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিল ঘূর্ণিঝড় ফণী। ফণীর বিদায়ে বেজে উঠেছে কর্মঘণ্টা। রোববার সকাল থেকে রোদের দেখা পেয়েছে রাজধানীর বাসিন্দারা। প্রতিদিনের মত জীবনের বাস্তবতার তাগিদে কাজের মাঠে নেমে পড়েছে সাধারণ মানুষগুলো।

শ্রমিকরাও তাতে পিছিয়ে নেই। শনিবারও থেমে ছিল না কারও কর্মজীবন। বরং জীবনের বাস্তবতার তাগিদে ভয়কে জয় করে কর্ম চালিয়ে গেছে সাধারণ মানুষ।

চাকরিজীবী গাইবান্ধার কাজিউল জানান, গত কয়েকটা দিন ফণীর আতঙ্কে মানসিক চাপ ছিল। তবে ফণী গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে চলে যাওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্তি।

রোববার সকাল থেকেই রাজধানীতে দেখা যায় দলবেঁধে শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে ফুটপাতে বসে আছেন। কারও মুখে ছিল হাসি, কারও ছিল মলিন। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ঢাকায় এসেছেন তারা। কারও আবাদি জমি নেই, তাই কাজের সন্ধানে রাজধানীতে। মলিন আর হাসির মধ্য দিয়ে চলে যায় তাদের জীবন। জীবিকার সন্ধানে তারা এসেছে গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, ভোলাসহ নানা জেলা থেকে।

শ্রমিকরা বলছেন, তারা জানেন না কাজ মিলবে কি না। ইট ভাঙা, নির্মাণকাজ, রাজমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রির সহকারী, কাঠমিস্ত্রি, বস্তা টানা, মাটি কাটা, ড্রেন পরিষ্কার থেকে শুরু করে এমন কোনো কাজ নেই, যা তারা করেন না, জানেন না।

শনিবার ফনির প্রভাবে কাজের সন্ধানে নামতে পারে নাই গাইবান্ধা থেকে আসা ইয়াসিন আলী। রোববার রোদ উঠায় অনেকটা স্বস্তি বোধ করছে। তাই ভোর থেকেই কাজের সন্ধানে নেমেছে।

তবে কবে কখন তারা কাজ পাবেন তা জানেন না। সবসময় কাজ পাওয়া যায় না বলছিলেন ইয়াসিন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আগের চাইতে লোক বেশি হইয়্যা গেছে। গ্রাম থেকে আইসা রিক্সা না পাইলে, দিন মজুরির কাজের সন্ধানে নেমে পড়ে। তাই দুই-একদিন বইসা থাকলে একদিন কাজ পাওয়া যায়। 

লোকজন ঘণ্টা বা দিনের হিসাবে দরদাম করে মজুরি ঠিক করেন। অভিজ্ঞতা আর কাজের ওপর ভিত্তি করে দৈনিক সাড়ে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পেয়ে থাকেন শ্রমিকরা বলছিলেন রংপুর থেকে আসা লোকমান।

কাজের অপেক্ষায় থাকা কয়েকজন শ্রমিকের একেকজনের জীবন রং নানা বৈচিত্রের। ভোলা থেকে নদীভাঙনের শিকার হয়ে ঢাকায় এসেছেন সালাম মিয়া। 

তার পাশেই বসে থাকা কুদরত কাজের সন্ধানে এসেছেন নওগাঁ থেকে। ইট ভাঙা থেকে শুরু করে নাস্তা খোড়াখুড়ির কাজ করেন তারা দুজনই।

তারা বলেন, ‘৩৫০-৪০০ টাকা রোজে কাজ করি। মাসে সাত-আট হাজার টাকা হয়। এই টাকাতেই সংসার চলে। কাজ আগের তুলনায় কমে গেছে।

 

টিআর/

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি