বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে জাদুকরি উল্কাবৃষ্টি
প্রকাশিত : ১৩:৫৩, ১২ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৪:০৫, ১২ আগস্ট ২০২৫
বাংলাদেশের আকাশ থেকে আজ ও কাল দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি নামে পরিচিত এই উল্কা পুরো আকাশে দারুণ এক দৃশ্য তৈরি করবে। এ বছর ১৩ আগস্ট ভোররাতে এই উল্কাবৃষ্টি সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখা যাবে।
১২ ও ১৩ আগস্ট—এই দুই রাত যেন হয়ে উঠতে যাচ্ছে রুদ্ধশ্বাস এক মহাজাগতিক শো! বাংলাদেশসহ উত্তর গোলার্ধের আকাশজুড়ে ছুটে চলবে শত শত আগুনঝরা উল্কা। পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি—এই নামে পরিচিত এই দুর্লভ মহাজাগতিক ঘটনাটি প্রতিবছর হলেও, এ বছর ১৩ আগস্ট ভোররাতে ঘটবে এর চূড়ান্ত বিস্ফোরণ!
মহাশূন্য থেকে ছুটে আসা ধ্বংসাবশেষ যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তখনই আকাশজুড়ে জ্বলে ওঠে আলোর স্রোত—যেন আকাশে নেমে আসে অগ্নিস্নান!
এই দৃশ্য দেখা যাবে নগরের কোলাহল ছাড়িয়ে, খোলা আকাশের নিচে—যেখানে আলোর দূষণ নেই, শুধু রহস্য আর বিস্ময়ের ছোঁয়া।
গত বছর এই সময় উল্কাবৃষ্টি ঘটার সময় দৃশ্যমান চাঁদ ছিল না। তবে এ বছর উল্কাবৃষ্টির সময় চাঁদের আলো থাকবে। এর ফলে উল্কাবৃষ্টি দেখার সময় কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে হবে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পার্সিয়াস নক্ষত্রমণ্ডলের পার্সি নক্ষত্র থেকে আসবে উল্কাগুলো। চাঁদের আলো থাকা সত্ত্বেও পার্সাইড উল্কা পুরো আকাশে দারুণ এক দৃশ্য তৈরি করবে।
পার্সাইড নামটি পার্সিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে এসেছে। প্রতিবছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এই উল্কাবৃষ্টি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১০০টি উল্কা দেখা যাবে। এসব উল্কা ধূমকেতুর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি বৃহত্তর কণা থেকে তৈরি হয়েছে।
পার্সাইড উল্কাবৃষ্টির উৎস হলো সুইফট-টাটল ধূমকেতু। এই ধূমকেতু যখন সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এর পৃষ্ঠ থেকে বরফ ও ধূলিকণা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবী যখন তার কক্ষপথে এই ধূলিকণার স্তরের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই সব কণা বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে জ্বলে ওঠে। এই জ্বলন্ত কণাই হচ্ছে উল্কা বা শুটিং স্টার।
মহাবিশ্ব তার রহস্যের পর্দা সেদিন নিজেই সরাবে। তাই চোখ রাখুন আকাশে।
প্রসঙ্গত, পার্সাইড উল্কাবৃষ্টি নামে পরিচিত এই উল্কাবৃষ্টি প্রতিবছর একই সময়ে হয়ে থাকে।
এএইচ
আরও পড়ুন