সম্ভাবনাময় সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য দরকার দক্ষ জনবল: উল্কাসেমির সিইও এনায়েতুর রহমান
প্রকাশিত : ২১:৩৫, ১৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৯, ১৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী বিয়ার সামিট এবং জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই আয়োজনের অংশ নেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের সম্ভাবনাময় সেমিকন্ডাক্টর খাতকে ঘিরে এমন বড় পরিসরে আলোচনা ও অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল এবারই প্রথম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এজ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর সমন্বয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এছাড়াও বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ)-এর প্রতিনিধি এবং দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।
এই আয়োজনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), এআইইউবি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিসহ সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন এই সিম্পোজিয়ামে।
সম্মেলনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আন্তর্জাতিক পরামর্শক, এবং ইন্ডাস্ট্রি থেকে উল্কাসেমিসহ অন্যান্যরা। আলোচনায় উঠে আসে – দেশীয় মেধাবীদের দক্ষ করে তুলতে হলে কারিকুলাম হালনাগাদ, ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সংযোগ, এবং বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হলে সেমিকন্ডাক্টরকে গুরুত্ব দিতে হবে, আর সে লক্ষ্যেই এই আয়োজন।’
সিম্পোজিয়ামের দেশের অন্যতম সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উল্কাসেমির সিইও ও প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর নিয়ে এই প্রথম এমন বৃহৎ আয়োজন হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে আমরা আনন্দিত। শিক্ষার্থীদের সরাসরি অংশগ্রহণ এবং তাদের আগ্রহ দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। তরুণদের এই আগ্রহ ভবিষ্যতের জন্য শুভসংকেত।”
তিনি আরও বলেন, “সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেত দরকার দক্ষ জনবল। বাংলাদেশে বিশ্বমানের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন ট্যালেন্ট তৈরি করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন নীতিগত সহায়তা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কাঠামো এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব।”
সিম্পোজিয়ামের অন্যতম বড় আকর্ষণ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ। তারা প্রযুক্তি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাতে-কলমে সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নেন।
এদিকে উল্কাসেমির বুথে অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রকৌশলিক সমস্যা, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি কথা বলেন এবং ভবিষ্যতে ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগ সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এসএস//
আরও পড়ুন