ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

করোনারি হৃদরোগের অন্যতম কারণ মানসিক  

ডা. মনিরুজ্জামান

প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ১৯ আগস্ট ২০২৩ | আপডেট: ১৬:৪৭, ১৯ আগস্ট ২০২৩

করোনারি হৃদরোগের অনেকগুলো কারণ রয়েছ। আজকের আলোচনায় হৃদরোগের গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করব। গত কয়েক দশকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অসংখ্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, হৃদরোগের অন্যতম কারণ মানসিক। আর এর নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আছে যার, তা হলো ক্রমাগত টেনশন ও স্ট্রেস।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্বের সাথে মনোযোগ দিচ্ছেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের আধিক্য কিংবা ধূমপানের অভ্যাস না থাকা সত্ত্বেও শুধু স্ট্রেসের কারণেই একজন মানুষ করোনারি হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

গবেষকদের মতে, ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে ব্লকেজ সৃষ্টি হলেই যে শুধু হার্ট অ্যাটাক হবে তা নয়। কোরিয়ার যুদ্ধের সময়কার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনাই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। সে-সময় রণক্ষেত্রে নিহত সৈনিকদের নিয়মিত অটোপসি (Autopsy) করা হতো। চিকিৎসকেরা সবিস্ময়ে লক্ষ করলেন, নিহত তরুণ সৈনিকদের শতকরা ৭০ জনেরই করোনারি ধমনী কোলেস্টেরল জমে বন্ধ হয়ে আসছিল (Advanced Stage of Atherosclerosis)। এদের মধ্যে ১৯ বছর বয়সী তরুণ সৈনিকও ছিল।

তখন প্রশ্ন উঠল, কোলেস্টেরল জমে ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়াই যদি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়, তবে এসব তরুণ সৈনিকের মৃত্যু তো গুলির আঘাতে নয়; বরং যুদ্ধে আসার আগে বাড়িতে বসে হার্ট অ্যাটাকে হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ধমনীতে এই পরিমাণ ব্লকেজ নিয়েও তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে!

শুধু তা-ই নয়, দেখা গেছে, ধমনীতে ৮৫ শতাংশ ব্লকেজ নিয়ে একজন মানুষ ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিয়েছেন। আবার এমনও হয়েছে, ধমনীতে কোনো ব্লকেজ নেই কিন্তু হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেল। কেন?

অনেক রোগী বলেন, সারাজীবন নিয়ম মেনে চলেছি, স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছি, কোলেস্টেরলের পরিমাণও ছিল স্বাভাবিক, আমার কেন হার্ট অ্যাটাক হলো? কিন্তু তার কেস-হিস্ট্রি অর্থাৎ পারিবারিক সামাজিক পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে যদি বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়, তবে হয়তো দেখা যাবে, বরাবরই তিনি টেনশন বা স্ট্রেসে ছিলেন। কিংবা দৈনন্দিন ছোটখাটো সব ব্যাপারে তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তা করতেন। 

মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্রিচটন দীর্ঘ গবেষণার পর দেখিয়েছেন- হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ মানসিক।

অনেকে মনে করেন, এনজিওগ্রামে ব্লক ধরা পড়েছে, এখন স্টেন্ট বা রিং লাগিয়ে নিলে কিংবা বাইপাস অপারেশন করে নিলেই হবে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি আর নেই। কিন্তু সত্য হলো, স্ট্রেস বা টেনশনের বৃত্ত থেকে যদি একজন মানুষ বেরিয়ে আসতে না পারেন, তবে হৃদরোগের ঝুঁকিমুক্ত থাকা তার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। তার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা শেষ পর্যন্ত থেকেই যায়, আর্টারিতে যে কয়টা স্টেন্টই লাগানো হোক।

যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাবিজ্ঞানী মেয়ার ফ্রেডম্যান এবং রে রোজেনম্যান দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণ করেন, হৃদরোগের সাথে অস্থিরচিত্ততা, বিদ্বেষ, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও ভুল জীবনাচরণের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। আর এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে জীবন সম্পর্কে আমাদের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি অর্থাৎ ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি। যার ফলাফল টেনশন। 

ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স হচ্ছে আমাদের অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেমের একটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা যখন গুহা বা জঙ্গলে বাস করত, তখন হিংস্র বন্যপ্রাণীদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে তাদের পথ ছিল একটাই- হয় সেই প্রাণীর সাথে লড়তে হবে অথবা এত জোরে দৌড়াতে হবে যেন প্রাণীটা ধরতে না পারে।

এখন আমরা নাগরিক মানুষ, লোকালয়ে থাকি। বন্যপ্রাণীর সাথে লড়াই করার প্রয়োজন অনেক আগেই ফুরিয়েছে। কিন্তু এই ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্সটা থেকে গেছে আমাদের নার্ভাস সিস্টেমে। কীরকম?

ধরুন, সন্ধ্যাবেলা আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখলেন, সামনে একটা সাপ ফনা তুলে আছে। আপনার চোখ সাপ দেখার সাথে সাথে ¯স্নায়ুর মাধ্যমে ব্রেনে মেসেজ পাঠাল- সামনে সাপ! প্রস্তুত হও! ব্রেন এবার আপনার শরীরের পেশি এবং স্নায়ুতে খবর পাঠাচ্ছে- সামনে সাপ, প্রস্তুত হও!

পরবর্তী নির্দেশনা ও কাজের জন্যে সব স্নায়ু ও পেশি চূড়ান্ত প্রস্তুত হলো এবং ব্রেনে খবর পাঠাল- আমি প্রস্তুত। ব্রেন তখন ভাবছে, পেশি যখন প্রস্তুত তাহলে চোখ যে তথ্যটা দিয়েছে সেটা ঠিক। সে আবার তাগাদা দিতে থাকে- আরো প্রস্তুত হও! পেশি পুনরায় খবর পাঠাচ্ছে, আমি আরো প্রস্তুত। ব্রেন বলে, আরো প্রস্তুত হও!

এই ‘আমি প্রস্তুত’ এবং ‘আরো প্রস্তুত হও’ চক্রটি চলতেই থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি আপনার মনোযোগটাকে অন্যদিকে সরিয়ে নিতে পারছেন। মজার ব্যাপার হলো, সত্যিকার সাপ দেখলে আপনার ব্রেন ও স্নায়ুতে যে প্রতিক্রিয়া হতো, আপনি যদি চিন্তা করতে থাকেন- সামনে সাপ, ব্রেন তখনো ঠিক একই প্রতিক্রিয়া করবে। অর্থাৎ বিপদ যতই দূরে থাকুক, আপনি যখনই কোনো কারণে বিপদের আশঙ্কা করছেন, বিপদ এলে কী হবে, আপনি কী করবেন- এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, আপনার মধ্যে তখন চলতে থাকে এই ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্সের এক অন্তহীন দুষ্টচক্র।

অতএব আমাদের টেনশনের দুই নম্বর কারণ হচ্ছে বিপদের কল্পনা বা দুশ্চিন্তা। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা যত বিপদের কল্পনা করি তার শতকরা ৯০ ভাগ আমাদের জীবনে কখনো ঘটে না। 

টেনশনের অন্যতম কারণ হলো বহন করে বেড়ানো। ধরা যাক, অফিসে বস আপনাকে তুচ্ছ কারণে বকাঝকা করেছেন। তিনি একতরফা বলেছেন, আপনাকে চুপচাপ শুনতে হয়েছে। কিছুই বলতে পারেন নি, তাই রাগও কমে নি। ভেতরে ভেতরে ফুঁসছেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলেন। বাড়িতে ঢুকেই অকারণে চিৎকার-চ্যাঁচামেচি আর স্ত্রীর ওপর রাগ ঝাড়তে শুরু করলেন- তোমার জন্যে আজকে আমার এই অবস্থা! যদিও সে বেচারির কোনোরকম ভূমিকাই এখানে নেই। কিন্তু আপনি দিলেন বাসার শান্তিটা নষ্ট করে।

আবার এমনও হতে পারে- স্ত্রী হয়তো আপনার চেয়ে এক ডিগ্রি চড়া। বাসায় স্ত্রীর কাছে ঝাড়ি খেলেন, কিছুই বলতে পারলেন না। অফিসে গিয়ে নিতান্ত তুচ্ছ কারণে পিয়নকে বকাবকি শুরু করে দিলেন।

অর্থাৎ অফিসের সমস্যা বাসায় এনে বাসার পরিবেশটা তিক্ত করে তুললেন আর বাসার সমস্যা অফিসে নিয়ে গিয়ে অফিসে অশান্তি সৃষ্টি করলেন। আমরা অধিকাংশ মানুষ এভাবেই বহন করে বেড়াই। যেটা যেখানে রেখে আসা উচিত, সেটা সেখানে রেখে আসতে পারি না। এমন ছোটখাটো অসংখ্য ঘটনা আমাদের জীবনকে ভরিয়ে তোলে স্ট্রেসে।

মানুষ যখন কোনো কারণে একঘেয়েমিতে ভোগে, তখন এ থেকে মুক্তির জন্যে সে বিনোদন খোঁজে। একটা সময় এই বিনোদন মানে ছিল বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা- ফুটবল ক্রিকেট ব্যাডমিন্টন টেবিল-টেনিস ক্যারম দাবা লুডু ইত্যাদি। সেইসাথে একটু গল্পগুজব, বেড়ানো ও কদাচিৎ নাটক-সিনেমা দেখা। সময়ের হাত ধরে আজ বিনোদনের ধরন বদলে গেছে। খেলাধুলা, গল্পগুজব, বেড়ানোর জায়গা দখল করে নিয়েছে টিভি ইন্টারনেট ফেসবুক টুইটার স্মার্টফোন। 

দিনরাতের বড় একটা অংশই দখল করে নিয়েছে ভার্চুয়াল জগৎ। আর এই অসুস্থ বিনোদনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে আমাদের বাস্তব জীবনে। টিভি সিরিয়ালের মূল বিষয় কূটনামি গীবত পরচর্চা ভায়োলেন্স ষড়যন্ত্র ও পরকীয়া। এসবের কুপ্রভাবও বিষিয়ে তুলছে আমাদের জীবন। এ-ছাড়া ফেসবুকের মরণ ছোবল পড়ছে আমাদের দাম্পত্য সম্পর্কে, আমাদের নৈতিকতায়। ফলে হু হু করে বাড়ছে দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া, বিবাহবিচ্ছেদ, খুন, শিশু ও নারী নির্যাতন। বাড়ছে স্ট্রেস।

আমরা দেখলাম, ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি, পণ্যদাসত্ব, বিপদের কল্পনা, নেতিচিন্তা ও অসুস্থ বিনোদন আমাদের মধ্যে তৈরি করে চলেছে এক দুঃসহ স্ট্রেস। সবমিলিয়ে ভেতরে চলছে অবিশ্রান্ত ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স। ফলে প্রায় সারাক্ষণই সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম উত্তেজিত থাকছে এবং নিঃসৃত হচ্ছে বিভিন্ন স্ট্রেস-হরমোন: এড্রিনালিন, নর-এড্রিনালিন এবং কর্টিসল।

এ অবস্থা চলতে থাকলে শরীরের ¯স্নায়ু ও পেশিগুলো যে পরিমাণে সংকুচিত হয়, সে অনুপাতে শিথিল হতে পারে না। ফলাফল নানা মনোদৈহিক রোগ। এ অযাচিত সংকোচন হৃৎপিণ্ডের করোনারি ধমনীকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে (Coronary spasm) স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত করে।

শুধু তা-ই নয়, সারাক্ষণই মাত্রাতিরিক্ত স্ট্রেস-হরমোনের প্রভাবে শরীরে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা, অনিদ্রা এবং রক্ত জমাটবাঁধার প্রবণতা। ফলে বেড়ে যায় করোনারি ধমনীতে ব্লকেজ সৃষ্টির আশঙ্কা।

গবেষকরা বলছেন, স্ট্রেসে থাকলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, খাদ্যাভ্যাস যেমনই হোক। যুক্তরাষ্ট্রে একটি কার রেসিংয়ের পূর্বে পাঁচশ প্রতিযোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হয় ও প্রতিযোগিতা শেষে পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, রেসের পূর্বে তাদের প্রত্যেকের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল! এ-ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্স-একাউন্টেন্টদের লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার আগের সময়টাতে তাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে।

হৃদরোগসহ অন্যান্য মনোদৈহিক রোগের সাথে টেনশন ও স্ট্রেসের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দেরিতে কাজ শুরু হলেও, পাশ্চাত্যে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে। কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় টেনশনের প্রকোপ শুরু হয়েছে সেই ৫০-এর দশক থেকে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের প্রফেসর ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হার্বার্ট বেনসন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে তিনি ‘মাইন্ড বডি ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা করেন।

টেনশনের মনোদৈহিক প্রভাব নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর গবেষণা করে প্রফেসর হার্বার্ট বেনসন দেখিয়েছেন, সাধারণভাবে যে রোগগুলোর সাথে আমরা বেশি পরিচিত, তার একটা বড় অংশের সাথেই রয়েছে টেনশনের নিবিড় যোগাযোগ। যেমন : উচ্চ রক্তচাপ, করোনারি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, বিভিন্ন রকম পেটের পীড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক আলসার, আইবিএস, ঘাড় ও মাথাব্যথা, অবসাদ, অনিদ্রা, হাত-পায়ের তালু ঘামা ইত্যাদি। 

শারীরিক উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পেলেও এসব রোগের আসল উৎস কিন্তু মন। মনে দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে জমতে থাকা কষ্ট, টেনশন, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তাই এ রোগগুলোকে বলা হয় সাইকোসোমাটিক ডিজিজ বা মনোদৈহিক রোগ।

টেনশন সৃষ্টি হলে শরীরে কী হয়? টেনশনের ফলে স্নায়ু এবং পেশি সংকুচিত হয়। পেশির এই সংকোচন বিশ্রাম বা ঘুমের সাহায্যে দূর হতে পারে, কিন্তু স্নায়ুর টেনশন বিশ্রাম বা ঘুমে দূর হয় না। এটি ভেতরে থেকেই যায় এবং ক্রমাগত এ অবস্থা চলতে থাকলে একসময় উল্লিখিত মনোদৈহিক রোগগুলোর সূত্রপাত ঘটে।

তাই স্নায়ুর টেনশন দূর করা অত্যন্ত জরুরি। আর সেজন্যে প্রয়োজন শিথিলায়ন। একমাত্র গভীর শিথিলায়নই পারে দেহের সব স্নায়ু-পেশিকে শিথিল করে তুলতে।

লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান-এর "এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ"

এমএম//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি