ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

মনের অসুস্থ্যতা কেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩২, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

একজন সাধুর কাছে কিছু নতুন শিষ্য এল। শিষ্যরা একদিন কোন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাধুর কাছে নালিশ জানাল। সাধু সেটির জবাব না দিয়ে প্রত্যেক শিষ্যকে ব্যাগভর্তি টমেটো নিয়ে আসতে বললেন। পরদিন শিষ্যরা তাই করল। সাধু বললেন ‘তোমরা আগামী দশদিন যেখানেই যাবে এই টমেটো সমেত ব্যাগ নিয়ে ঘুরবে। এক মুহূর্তের জন্যেও এটা কাছ ছাড়া করবে না। সপ্তাহ না ঘুরতেই শিষ্যরা সাধুর পায়ের কাছে ব্যাগ এনে ফেলল। বলল, ‘এই ব্যাগ নিয়ে আর ঘোরা সম্ভব নয়। টমেটো পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আপনি আমাদের এই দুর্গন্ধ বয়ে বেড়ানো থেকে পরিত্রাণ দিন।’

সাধু হাসলেন। বললেন, ‘তোমাদের মনের ভেতরেও যে আবর্জনা (অন্যের প্রতি নালিশ, রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা ঈর্ষা) বয়ে বেড়াচ্ছ সেগুলো থেকেও এমনই দুর্গন্ধ ছড়ায়। সামনে এগুতে হলে মনের আবর্জনা সাফ কর।’

আমাদের অশান্তির অন্যতম কারণ মনের ভেতর জমে থাকা আবর্জনা। অজান্তেই এগুলো আমরা বহন করে বেড়াই। সাফ-সুতরো করার তাগিদ অনুভব করি না। শরীরের বিভিন্ন রোগ আকারে সেগুলোর প্রতিফলন ঘটে। প্রবোধ দিই মনকে, ‘আল্লায় শরীর দিছেন রোগও তিনিই দিছেন।’ আমাদের রোগ বালাই দুঃখ কষ্ট দিয়ে তাঁর কি লাভ! তিনি তো দয়ার আকর। আমরা তাঁর পরম মমতার সৃষ্টি। বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীর সমস্ত মায়ের মমতা একত্র করলে যতটা হয় আমাদের প্রতি স্রষ্টার মমতা তার থেকে অনেক অনেক বেশি।

নবীজী (স.) বলেছেন, ‘প্রত্যেকের বুকের ভেতর একটি ক্ষুদ্র মাংসপিন্ড রয়েছে। একে বলে ক্বালব বা মন বা হৃদয়। জেনে রাখো, এই ক্বালব বা মনের দূষণ শরীরকে দূষিত ও অসুস্থ করে তোলে আর ক্বালব বা মন দূষণমুক্ত হলে শরীর দূষণমুক্ত ও সুস্থ হয়।(তাই মনের আবর্জনা পরিস্কার করার দিকে নজর দাও।)’ -নোমান ইবনে বশীর (রাঃ); বোখারী (রা:)


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি