ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

পদোন্নতি পাচ্ছেন সরকারি হাইস্কুলের ৫শতাধিক শিক্ষক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৭, ৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২০:১৫, ৪ এপ্রিল ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

পদোন্নতি পাচ্ছেন সরকারি হাইস্কুলের ৫২৯ জন শিক্ষক।  সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে এ পদোন্নতি দেওয়া হবে। একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে শিক্ষকদের নাম বাংলাদেশ কর্ম কমিশনে (পিএসপি) পাঠানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা  অধিদপ্তর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন বিভাগে আলোচনা হয়েছে। আগামী ৯ তারিখ  একটি বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণায়য়ের আলোচনা শেষ হয়ে। তৈরি হয়েছে প্রাথমিক তালিকা। আগামী ৯ এপ্রিল একটি বৈঠক করা নামা চূড়ান্ত করে পাঠানো হবে।

মাউশি সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাইস্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতির নীতিমালা অনুযায়ী ২০১০ সাল পর্যন্ত বিএড ডিগ্রি অর্জনের দিন থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। চাকরিতে যোগদানের দিন থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হতো না। এ কারণে চাকরিতে যোগদান করে নবীন শিক্ষকরা বিএড করে দ্রুত পদোন্নতি পেতেন। চাকরির যোগ্যতা হিসেবে বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক না থাকায় বঞ্চিত হন বিএড না করা প্রবীণ শিক্ষকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঞ্চিত শিক্ষকদের জন্য ২০১১ সালে নীতিমালাটি সংশোধন করা হয়। নতুন নীতিমালায় চাকরিতে যোগদানের দিন থেকেই জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। তবে বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক থাকে।

এদিকে, মাউশির নতুন নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে ৭৫ জন সহকারী শিক্ষক ২০১৫ সালের মার্চে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ওই বছরের ৭ ডিসেম্বর রিটের রায় দেন আদালত। এতে বলা হয়, ২০১০ ও ২০১১ সালের নিয়োগ বিধি সাংঘর্ষিক। ২০১০-এর পদোন্নতি নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের পক্ষে মত দেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা আপিল করেন। গত বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেন।

টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি