ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সমবায় শক্তিশালী করার পরিকল্পনা সরকারের

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ১১:৫২, ৬ নভেম্বর ২০২১

সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি বদলে দেয়ার পরিকল্পনা সরকারের। ৫০তম সমবায় দিবসে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় ক্ষেত্রই হবে সমবায়। জাতির পিতার দেখানো পথে সমবায় শক্তিশালী করার কথাও জানান তিনি।

স্বাধীনতার পর সমবায়কে মালিকানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসাবে ঘোষণা দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। দেশের প্রত্যেক গ্রামে ইউনিয়ন ভিত্তিক বহুমুখি সমবায়ের মাধ্যমে সুলভে নিত্যপণ্য ও কৃষি উপকরণ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়। মহাজনদের থেকে কৃষককে রক্ষায় সমবায় ভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণ ছাড়াও মৎস চাষ, ইক্ষু চাষ, তাঁত শিল্প, হস্তশিল্প, দুগ্ধ শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগও এগিয়ে যায়।

৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠির উত্থানে মুখ থুবড়ে পড়ে সমবায় আন্দোলনও। সমবায় অধিদফতরের সব শেষ হিসাব বলছে, দেশে এখন মোট সমবায়ের সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩১৬টি। আর এগুলোর সদস্য সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫১৪। সব মিলিয়ে আমানত ৯ হাজার ১৯ কোটি টাকা। সমবায়ের মাধ্যমে মোট কর্মসংস্থান ৯ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি।

সমবায় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিটি গ্রাম নিয়ে সমবায়ের যে আন্দোলন বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন, সে ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

বাংলাদেশ জাতীয় পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশনের সভাপতি বিপ্লব মাহমুদ উজ্জল বলেন, প্রতিটি গ্রামে কৃষক সমবায় সমিতি গ্রহণ করার লক্ষ্যে আইডিবি গঠন করা হয়েছিল। আইডিবি বর্তমানে বিআইডিবি নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সহযোগিতা আমাদের পল্লী ভিত্তিক সরকার আছে তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিত কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ-সুবিধার কিছুই নেই।

‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন সমবায়ে উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্যে ৫০তম সমবায় দিবসে সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বিগত সময়ে সমবায়ের নামে বেশকিছু বড় অনিয়ম হলেও বর্তমানে বেশিরভাগ সমবায় সঠিকভাবেই চলছে। 

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, এনজিওর মতো করেই এখানে কিছু ভুঁইফোড় কিছু পুঁজিপতিকে তারা লাইসেন্স দিয়েছে। এখানে ডেএসটিনি, যুবক, আজিজ কো-অপারেটিভ বা মার্কেন্টাইল- এই ধরনের বিনিয়োগ পুঁজিপতি তৈরি করার জন্য তারা একে ব্যবহার করেছে। সমবায়ের প্রতি মানুষের যে আগ্রহ ছিল বা বঙ্গবন্ধুর যে নীতিমালা ছিল সেগুলো ওইভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি।

যে উদ্দীপনা নিয়ে এ দেশে সমবায় আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে পর্যায়ে এখনি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হলেও সমবায়কে শক্তিশালী করার চেষ্টার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। 

প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, “আমাদের সফলতা আছে, গ্রামে গেলে দেখা যাবে ছোট ছোট সমবায়ের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ গরুর খামার, ছাগলের খামার, মুরগির খামার হচ্ছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য কিভাবে সমবায়ের মাধ্যমে অনলাইনে বাজারজাত করতে পারি, মধ্যসত্তভোগীকে বিলোপ করতে পারি।”

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসার নামে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে নারী সমবায় প্রতিষ্ঠার কাজ এগোচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি