শুভ জন্মদিন আপা
প্রকাশিত : ১২:১৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2020June/120294702_10224441951781093_6309384172560628808_n-2009280616.jpg)
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। যার নামের আগে পরে কোনো প্রকার বিশেষণ যোগ করার দরকার হয় না। যার জীবন-দর্শন দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত।কঠিন সংগ্রামের পথ বেয়ে বিকশিত একজন মহীয়সী নারী। তাঁর রাজনৈতিক দর্শন বিশ্বমানবের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে বড় রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এবং ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী। আজ এই মহীয়সী নারীর ৭৪ তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন আপা। এই নামেই যেন আপনার পূর্ণতা। যেন এই নামের মধ্যে আমরা আপনার মমতা খুঁজে পাই।
জাতির পিতার মতো দুর্জয় সাহস নিয়ে দেশের রাজনীতি ও জনগণের পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, যুদ্ধ করছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো এগিয়ে চলছেন। বিদেশে থাকায় পঁচাত্তরের পনেরো আগস্টের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যান। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি দেশে ফেরার পর থেকে পরাজিত শক্তির দোসররা তাকে হত্যার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়।সব শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড রাষ্ট্র যন্ত্রের আশ্রয়ে তাঁর উপর হামলার মতো নারকীয় ঘটনা ঘটেছে।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা শেখ হাসিনাকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে আসন দিয়েছে। তার সবচেয়ে বড় সাফল্য, যুদ্ধের ময়দান থেকে হটে না যাওয়া। তার চারদিকে এখনো পরাক্রান্ত বহু শত্রু। তিনি একাই লড়ছেন দানবীয় আপশক্তির বিরুদ্ধে। চারদিকের সব ষড়যন্ত্র পায়ে ঠেলে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় প্রত্যয় নিয়ে বিশ্বের একজন সফল রাজনৈতিক নেতা ও রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। হয়ে উঠেছেন সমকালীন রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ।
বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ, দ্বন্দ্ব, হানাহানি, সংঘাত, সংঘর্ষ; বারুদের ঝঙ্কারের বিপরীতে একের পর এক শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বজুড়ে যে জঙ্গিবাদের বিস্তার, তার নির্মূলে তিনি সোচ্চার। নিজ দেশের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের তিনি দমন করছেন সাহসের সঙ্গে। শেখ হাসিনা আজ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যে কারণে আমাদের দেশ আজ বিশ্বের জন্য রোল মডেল। তিনি গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে দৃঢ় চিত্তে উচ্চারণ করেছেন- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই ফরেন পলিসিতে তিনি বারুদের গন্ধের মধ্যে শান্তির বার্তা ছরিয়ে দিচ্ছেন। এখানে আমরা অবাক হয়ে একজন মহৎ হৃদয়ের হাসু আপাকে দেখি। যিনি জাতির পিতার আত্মজা; যার দমনিতে একজন মহান মানুষের রক্ত প্রবাহিত।
শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা।
শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল: ভারতের সঙ্গে সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন।
এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮.৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি।
২০১৪ সালের পর এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, (এরফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান হয়েছে), মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ৩২ বিলিয়ন ডলারের উপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু ইত্যাদি।
শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, স্কটল্যান্ডের অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্রাসেলসের বিশ্ববিখ্যাত ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
এছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিপ্লোমা প্রদান করে।সামাজিক কর্মকান্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে।পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘‘হুপে-বোয়ানি’’ (Houphouet-Boigny) শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাস্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাসূচক “Pearl S. Buck ’৯৯’’ পুরস্কারে ভূষিত করে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘‘মাদার টেরেসা’’ পদক প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন তাঁকে Paul Haris ফেলোশিপ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় কংগ্রেস ১৯৯৭ সালে তাঁকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি পদক প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে তিনি ‘‘Medal of Distinction” পদক ও ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে “Head of State” পদক লাভ করেন।
২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বৃটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং ২ বার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেসকো তাঁকে ‘শান্তিরবৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাঁকে রিজিওনাল লিডারশীপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে।
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাঁকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে।জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া, টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য International Telecommunication Union (ITU) শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-2015 প্রদান করে।
শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থের রচিয়তা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: ‘‘শেখ মুজিব আমার পিতা’’, ওরা টোকাই কেন?, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’’, দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা’’, ‘‘আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম’’, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি’’, ‘‘সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র’’, ‘‘সাদা কালো’’, ‘‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’’, Miles to Go, The Quest for Vision-2021 (two volumes)।
২০১৭ সালে মিনানমারে জাতিগত দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গারা যখন বাস্তুচ্যুত হন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্বিচারে নারী শিশু বৃদ্ধকে হত্যা করে। রক্তের লেলিহান স্রোতে নাফ ভেসে যাচ্ছিল। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রা জীবন বাঁচাতে ছুটে আসে এদেশে। মানবতা যখন ভূলুণ্ঠিত হল, বিশ্ব তাকিয়ে দেখল। কেউ আফসোস করলো, কেউ ত্রাণ নিয়ে ছুটে এলো কিন্তু এদেশে একজনই আছেন যিনি ঘোষণা দিলেন প্রয়োজনে খাবার ভাগ করে খাব, তবুও এই মানুষগুলোকে কষ্ট দেবো না।
তিনি পরম মমতায় আশ্রয় দিলেন, মায়ের মমতায় আগলে রাখলেন তাদের কিন্তু বিশ্বমোড়লরা একবারও তার সুষ্ঠু সমাধান দিতে পারেনি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দিনদিন জটিলতর পরিস্থিতিতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবার ও জাতিসংঘ সম্মেলনে তাদের প্রত্যাবর্তন এবং ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আওয়াজ তুললেন। তিনি যে উদার মানসিকতা দেখিয়েছেন সেটা বিশ্ব দরবারে বিরল ঘটনা। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী দেখল অন্যরকম এক শেখ হাসিনাকে। ভূষিত হলেন ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ হিসেবে। তিনি আসলেই ঠিক তাই।
শেখ হাসিনা ‘‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’’ এর সভাপতি। তিনি গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দরিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য । প্রযুক্তি, রান্না, সঙ্গীত এবং বই পড়ার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
পুরুস্কার হচ্ছে কাজের স্বীকৃতি।তিনি পুরুস্কারেরও অধিক পুরুস্কার এই জাতির জন্য। যিনি এতটা শ্রম ঘামে আমাদের দেশের মানুষের জন্য দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর জন্য দু কলম লেখাটা নিজের দায়িত্ব মনে করছি। হয়তো এই লেখা কিছুই নয় তাঁর কাজের মূল্যায়ন করবার শক্তি আমার এই লেখায় নেই কিন্তু একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হয়ে আসে। যেখানে সবাই মানবতা ভূলুণ্ঠিত হয় সেখানে শেখ হাসিনার হৃদয়ের অপার শক্তি আমাদের আশান্বিত করে তোলে।
তিনি সত্তিকারের মানবতার বন্ধু সেই নজির তিনি রেখেছেন কাজে- কর্মে। তাঁর পিতার মতই একজন নিবেদিত মানুষ হিসেবে তিনি দিন মজুর থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে খবর রাখছেন। এই জন্য বলা হয়ে থাকে শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই বাংলাদেশ ঘুমাতে পারে।তাঁর সতর্ক চোখে যেন কোন কিছুই বাদ পড়ে না। সর্বদা মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থেকে এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। গত এক যুগে তিনি বাংলাদেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন।
এখন আর বহির্বিশ্বে আমরা মাথা নত করে চলতে হয় না। আমার কাছে মনে হয় এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সব থেকে বড় সম্ভাবনার নাম শেখ হাসিনা। জয়তু শেখ হাসিনা।জন্মদিনে আপনাকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা আর বুকভরা ভালোবাসা। দেশের মানুষের দিন বদলে আপনার মনোমুগ্ধ কাজ- কর্ম আমাকে একজন নাগরিক হিসেবে অনুপ্রাণিত করে। এবারের জন্মদিনে আপনার প্রতি এটাই হোক আমার শ্রদ্ধা। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
লেখক: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক
এমবি//