ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

অজীর্ণ দূরীকরণে গাঁধাফুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

গাঁধাফুলে রয়েছে অনেক ওষুধী গুণ। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে এর ওষুধী গুণগুলো তুলে ধরেছেন। একুশে টিভি অনলাইনে তা দেওয়া হলো-

১) গুরুপাক খাবার খেয়ে অথবা বেশীক্ষণ উপবাস থেকে স্নেহ জাতীয় খাবার খেলে অজীর্ণ হয়। এক্ষেত্রে গাঁদা পাতার রস বেশ উপকারী। পাতার দেড় থেকে দুই চা চামচ রসে একটু চিনি মিশিয়ে দিনে দুই তিনবার খেলে একদিনের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

২) রক্তার্শে গাঁদাফুলের রস এক চা চামচ একটু মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার করে দুদিন খেলেই যন্ত্রনা বা রক্তপড়া দুই বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও থাকে না।

৩) হঠাৎ করে রক্তবমি বা পায়খানা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপড়া ( রক্ত পিত্ত) শুরু হলে এক চা চামচ করে গাঁদা পাতার রস গরম করার পর ঠাণ্ডা হলে দিনে দুই তিনবার খেলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।

৪) যে কোন কারণে চোখ লাল হলে গাঁদা ফুলের রস চোখে দিলে উপকার হয়।

৫) কান টাটানী বা কটকটানী হলে গাঁদা পাতার রস একটু গরম করে সকালে-বিকালে দুএকদিন দিলেই সেরে যায়।

৬) ফোঁড়া পাকছে না, শক্ত হয়ে আছে এরুপ ক্ষেত্রে গাঁদা পাতা বাটা প্রলেপ দিলে শিগগিরই পেকে যাবে এবং যন্ত্রনাও কমে যায়।

৭) শরীরে পাঁচড়া হলে গাঁদা ফুলের রস আধা চামচ করে দুই থেকে চার দিন দিনে দুই বার খেতে হবে এবং শরীরে লাগালে এতে পাঁচড়া সেরে যায়।

পরিচিতি- গাঁদা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি ১.০ সেন্টি মিটার পর্যন্ত উচু হয়। পাতা বহু খণ্ডে বিভক্ত, এ পত্রকে ধার করাতের মতো খাঁজকাটা। গাছে ও পাতায় সূক্ষ সূক্ষ রোম ও একটি ঝাঁঝালো গন্ধ আছে। সাধারণত অঞ্চলভেদে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত হলদু থেকে কমলা রংয়ের ফুল হয়।

 

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি