ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫

অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলেন রাব্বানী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া গোলাম রাব্বানী। 

এ সময় তিনি ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ও তার কারণে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্যও ক্ষমা চেয়েছেন।

সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া স্ট্যাটাসে রাব্বানী অনুতপ্তের কথা জানান। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া গোলাম রাব্বানীর স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

‘মমতাময়ী নেত্রী, আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি, আমি অনুতপ্ত, ক্ষমাপ্রার্থী। প্রিয় অগ্রজ ও অনুজ, আপনাদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির পুরো মেলবন্ধন ঘটাতে পারিনি বলে আপনাদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী।

মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমিও ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। তবে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে আবেগ-ভালোবাসার এই প্রাণের সংগঠনের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী ‘গর্হিত কোন অপরাধ’ করিনি। আনীত অভিযোগের কতটা ষড়যন্ত্রমূলক আর অতিরঞ্জিত, সময় ঠিক বলে দেবে।

প্রাণপ্রিয় আপা, আপনি আদর্শিক পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের সুযোগ্য তনায়া, ১৮ কোটি মানুষের আশার বাঁতিঘর। আপনার দিগন্ত বিস্তৃত স্নেহের আঁচল, এক কোণে যেন ঠাঁই পাই। আপনার ক্ষমা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাকিটা জীবন চলতে চাই।’

রাব্বানীর এই স্ট্যাটাসটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। স্ট্যাটাসটিতে এক ঘণ্টায় ১৫ হাজারের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী লাইক দিয়েছেন। শেয়ার দিয়েছেন ৮৬৫ জন। আর স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্য করেছেন প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি।

কমেন্টে অনেককে রাব্বানীর প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতেও দেখা গেছে। আবার অনেকে সমালোচনা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতার কারণে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সভায় তিনি শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

১৪ সেপ্টেম্বর আ’লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যহতি দেয়া হয়। 

এরপর শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবীসহ বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা, কমিটি দিতে অর্থনৈতিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেরিতে যাওয়া এমনকি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি