আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির সমাবেশ চলছে
প্রকাশিত : ১৬:৪১, ২ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ এনে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সমাবেশ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার বিকাল তিনটায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম গেট এলাকায় দলটির এ বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে।
এনসিপির সমাবেশের কারণে বায়তুল মোকাররমের জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গভবন অভিমুখী প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মশিউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না— গত ৫ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদিন শিশির বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং খুনি হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার অবশ্যই হতে হবে৷ এই দাবি আদায়ে এনসিপি মাঠে আছে, থাকবে৷
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররমের আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সমাবেশে শহীদ খালিদ সাইফুল্লার পিতা ডা. কামরুল বলেন, আমার ছেলের বুকে ৭০টা গুলি করা হয়েছিল। একজন মানুষকে মারতে কতগুলো গুলির প্রয়োজন হয়? আমি বলতে চাই খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
এনসিপি জানিয়েছে, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলটির রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধে দাবির অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সমাবেশের আয়োজন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা মহানগর শাখা।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়। গণ-অভ্যুত্থানের পর তারা রাজনীতি করার নৈতিক ও গণতান্ত্রিক ভিত্তি হারিয়েছে। তাই দ্রুত বিচার করে দলটিকে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার রাখে না। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা। যদি ফ্যাসিবাদকে আবার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয়, তাহলে তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিহত করা হবে।
এমবি//
আরও পড়ুন