ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫

আগুনে পুড়ে ছাই ঢাবির শিক্ষার্থী কাউছার

প্রকাশিত : ১৩:৩৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৫:১৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

চকবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৭০ জন। এদের অধিকাংশের লাশই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আনা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। নাম কাউছার আহমেদ। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে পড়তেন।

নিজের আয়ে পড়াশুনা করতেন কাউছার। তার মৃত্যুতে পরিবারের স্বপ্ন পুড়ে চাই হলে গেলো।

পুরান ঢাকার চকবাজার শাহী জামে মসজিদ এলাকার আল-মদিনা ফার্মেসিরও স্বত্বাধিকারী। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ছেলে কাউছার দোকানটির আয় দিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতেন। পাশাপাশি পরিবারের ভরণপোষণের ভারও নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন।

গতকাল বুধবার রাতের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে মারা গেছেন কাউছার। তাঁর ফার্মেসিও ছাই হয়ে গেছে আগুনের লেলিহান শিখায়। সঙ্গে দোকানের চিকিৎসকও মারা গেছেন। তাঁদের দুজনের লাশই ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। মর্গের সামনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিলাপ করছিলেন কাউছারের মা ও ভাই হাফিজ আহমেদ।

হাফিজ আহমেদ জানান, আর্থিক টানাটানির কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরেছেন ভাই কাউছার। স্বপ্ন ছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে একটি বড় চাকরি করবেন। সেই ভাই চোখের নিমিশেই চলে গেলেন।

এদিকে বারবার মূর্চ্ছা যাচ্ছেন কাউছারের মা। বুক চাপড়াচ্ছেন আর বলছেন,‘আমার কাউছার কই। আমার বুকের ধনকে আমার বুকে এনে দে।’আত্মীয়স্বজনরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

কাউছারের ভাই হাফিজ আরো বলেন, আগুন লাগার সময় আমার ভাই ও ডাক্তার ফার্মেসির ভেতরে ছিলে। আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর পরই তাঁরা দোকান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু তাদের দোকান থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। ফার্মেসির ভেতরেই তারা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র ছাত্র। তিনি এতটা বোকা নন যে, দোকানের ভেতরে থেকেই পুড়ে মারা যাবেন।


টিআর/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি