ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিচারকদের চাকরিবিধি

আরও দুই সপ্তাহ সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৪, ৬ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:২৭, ৮ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলাসংক্রান্ত  বিধির গেজেট প্রকাশে সরকারকে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রোববার সময়ের আবেদন করলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেন।
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের দীর্ঘ টানাপড়েনের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ওই বিধিমালার খসড়া সুপ্রিম কোর্টে জমা দিলেও প্রধান বিচারপতি গত ৩০ জুলাই তা গ্রহণ না করে কয়েকটি শব্দ ও বিধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রধান বিচারপতি সেদিন বলেন, আইনমন্ত্রী খসড়া চূড়ান্ত করার আগে তার সঙ্গে আলোচনা করলেও পরে পুরোপুরি‘ইউটার্ন’ করেছেন।
ওই খসড়া গ্রহণ না করে প্রধান বিচারপতি মতপার্থক্য নিরসনে আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় ডেকেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ৩ আগস্টের মধ্যে যেকোনো দিন তারা বসতে পারেন।
আইনমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বসবেন বলে সাংবাদিকদের জানালেও পরে অসুস্থতার কারণ সেদিন আর সুপ্রিম কোর্টে যাননি।
রোববার আদালতের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমরা তো আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসতে চাই। আইনমন্ত্রী অসুস্থ এটা পেপার পড়ে জেনেছি। ওনি (আইনমন্ত্রী) অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন নাকি বাসায় ছিলেন। আমরা তো দেখতে যেতে পারতাম।’
মামলার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তরের পর তা গেজেট আকারে প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে ২৩ জুলাই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তারপর সেটা আবারও পরবর্তী শুনানির জন্য রোববার দিন ঠিক করে দেন আদালত।
প্রসঙ্গত মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে এক রায় দেন।
ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থি ও বাতিল ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেন সর্বোচ্চ আদালত।
মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃংখলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠান।
//এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি