ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

উৎসবের পরও ত্বকের সুরক্ষায় চাই যত্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিয়ে থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে আমাদের সাজগোজের কমতি থাকে না। উৎসবের মুহূর্তগুলো রঙিন করে তুলতে হাজারো চেষ্টা থাকে। কিন্তু বিশেষ দিনটি শেষ হলেও ত্বকের যত্ন নেওয়ার বিষয়টি থেমে থাকলে হবে না। দিনগুলোতে যাদের রান্নাবান্নায় সময় দিতে হয় বেশি, বিভিন্ন কাজে থাকতে হয় ব্যস্ত। তাদেরও  আলাদা করে নিতে হবে ত্বকের যত্ন।


আলু টমোটো শশার রস
ঈদের সময়টিতে আগুনের আঁচে মুখের ত্বকেও প্রভাব পড়ে। আবার কাজের চাপ ও যত্নের অভাব এবং পানি কম পানের কারণেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় কিংবা অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে শুষ্ক ত্বকের যত্নে টকদই, চন্দন, অ্যালোভেরা একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ত্বক মসৃণ ও নরম থাকবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টমেটো, মধু, নিমপাতা, মসুর ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে লাগান। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমে যাবে এবং ব্রণ দূর হবে। অনেকের মিশ্র ত্বক চুলার আঁচের সংস্পর্শে তৈলাক্ত হয়ে ওঠে এবং মুখের চামড়া উঠতে থাকে। এ ক্ষেত্রে কচি ডাবের শাঁস, কমলার রস, বেসন ও কালো জিরার তেল একত্রে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হবে। এছাড়া বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি থাকেই। আপেল, কলা, বেদানা, পাকা পেঁপে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। সংরক্ষণ করতে চাইলে কাচের কৌটায় করে ফ্রিজে রাখুন। মুখে লাগানোর আগে মিশিয়ে নিন বেসন অথবা চালের গুঁড়া। শুষ্ক ত্বকের জন্য শসার পরিবর্তে গাজর দিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহারে লোমকূপ পরিষ্কার হবে। ত্বক ভালো ও উজ্জ্বল হবে। ক্লান্তিতেও অনেক সময় চোখের নিচে কালচে দাগ পড়ে। তাই মাঝেমধ্যেই আলু, টমেটো ও শসার রস লাগিয়ে রাখুন। ক্লান্তি কমবে।


ঠোঁটের সৌন্দর্যে

ঠোঁট ফাটা, চামড়া উঠে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা লিপবাম ব্যবহার করুন। নিয়মিত বাইরে যাওয়ার সময়ও এগুলো সঙ্গে রাখতে পারেন। গোলাপের পাপড়ি মধু দিয়ে ব্লেন্ড করে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগানোর পর বেশ কিছুক্ষণ ঠোঁটের সংস্পর্শে রেখে দিতে হবে। মিশ্রণটি ঠোঁট শুষ্ক মনে হলে আবার লাগান। তবে মিশ্রণের কিছু অংশ যদি আপনার মুখের ভেতরে চলে যায়, তাতেও ক্ষতি নেই। লিপস্টিকটি অবশ্যই ভালো ব্রান্ডের হওয়া চাই।


পায়ের সুরক্ষা
নখ সৌন্দর্যের অনেকখানি ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু সতর্ক না থাকলে উল্টে বা ভেঙে গিয়ে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে। কারণ মাংস কাটা-ধোয়া, প্যাকেটজাত ও রান্না করতে গিয়ে অনেকের নখ ভেঙে যায়। তাই ঈদ পরবর্তী সময়গুলোতে নখ ছোট রাখাই ভালো। আবার মাংস কাটা ও বাছার কারণে হাতজুড়ে আঁশটে গন্ধ থেকে যায়। সেক্ষেত্রে হাতে সামান্য হলুদের গুঁড়া মেখে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিলে গন্ধ চলে যাবে। তবে অবশ্যই একবার ম্যানিকিউর করে নেওয়া ভালো। পায়ের যত্নে চাইলে বাড়িতেও সেরে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে গোসলের আগে কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ, কয়েক ফোঁটা শ্যাম্পু দিয়ে পা ভিজিয়ে রেখে পামস্টোন দিয়ে ঘষে পায়ের ময়লা ও মরা কোষ তুলে ফেলে দিতে হবে। এরপর কিউটিক্যাল কাটার দিয়ে নখের পাশের কিউটিক্যাল ফেলে দিয়ে ব্রাশে অল্প শ্যাম্পু লাগিয়ে হাত-পায়ের নখ পরিষ্কার করে পানি দিয়ে হাত-পা ধুয়ে যেকোনো প্যাক লাগান। গোসল শেষে হাত-পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাতে লোশন লাগান। আর ভালো ব্র্যান্ডের নেইলপলিশ ব্যবহার করতে হবে।


পরিমিত বিশ্রাম
ঈদের দিনগুলোজুড়েই নানা ধকল সইতে হয়েছে। তাই এবার সময় নিজেকে পুরোপুরি বিশ্রাম দেওয়ার। যতটা সময় পারেন গান শুনে, নিজেকে সময় দিয়ে কাটান।


খাবারদাবার
ত্বক ভালো রাখতে হলে খাবারদাবারের ব্যাপারেও থাকতে হবে সচেতন। উৎসবের আমেজে খাওয়া-দাওয়া তো চলবেই। তবে যে খাবারে অ্যালার্জি আছে, তা পরিহার করতে হবে। বিরিয়ানি- পোলাও থেকে এবার নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখুন। গুরুপাক খাবার ভরপেট খাবেন না। পেটের খানিকটা অংশ খালি রেখেই পানি ও খাবার খাওয়া শেষ করুন। শাক-সবজির দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে। সহজে হজম হবে এমন সব খাবার খান।


পর্যাপ্ত পানি
ঘুরে বেড়ানো কিংবা কাজের চাপে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। সারা দিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন। পরিশ্রম বেশি হলে পানির পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।
আরকে//এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি