ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

এআর ভিআর প্রকল্পে উজ্জ্বল সম্ভাবনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আগামী বছরের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (ভিআর) প্রকল্পগুলো থেকে ২০০ বিলিয়নেরও বেশি মুদ্রা আয় করা সম্ভবকিন্তু ডিভাইসের স্বল্পতায় দেশের তরুণরা সম্ভাবনাময় খাতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করতে পারছে না। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মেলাডিজিটাল ওয়ার্ল্ডএর সমাপনী দিনে বিকেলেএআর ভিআর প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচারশিরোনামের এক সেমিনারে এসব কথা বলে প্রযুক্তিবিদরা

ফেসবুক, গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফটসহ টেক জায়ান্টরা যখন তাদের এআর ও ভিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা সেবা প্রদান করছে, তখন বাংলাদেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা ব্যবস্থায় এই এআর, ভিআর প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে। কেউ ইতিহাসভিত্তিক অ্যাপস বানাচ্ছে, কেউ বা বানাচ্ছে গেইমিং অ্যাপস।

রাইজ আপ ল্যাবসের সিইও অ্যান্ড ফাউন্ডার এরশাদুল হকের সঞ্চালনায় আইসিটি ডিভিশনের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেমস অ্যান্ড এপ্লিকেশন এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর কেএম আব্দুল ওয়াদুদ, ব্যাটারি ল ইন্টারঅ্যাকটিভের ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান মিনহাজ উজ সালেকীন ফাহমি, ইন্টারঅ্যাকটিভ আর্টিফ্যাক্টের সিইও নুসরাত জাহান, ড্রিমার্জ ল্যাবের সিইও তানভির হোসেন খান এই সেমিনারে অংশ নেন।

অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন জানানোর অ্যাপস তৈরি করেছেন এরশাদুল হক। তিনি বলেন, “শুধু ডিভাইসের স্বল্পতায় আমাদের তরুণরা সম্ভাবনাময় এআর ও ভিআর প্রকল্পগুলোতে কাজ করতে পারছে না। তাই বলে কিন্তু বসে নেই ওরা। এআর ও ভিআর নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করে দিয়েছে।”

গুগলের ট্রান্সলেট অ্যাপস, স্কাই ম্যাপ, পোকেমন গেম, অ্যাপল-১০ মোবাইলগুলোতে এআর প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা জানান মিনহাজ উজ সালেকীন ফাহমি। উইন্ডোজ ফোনের পরে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের মোবাইল ফোনের চ্যাটিং, ক্যামেরা অ্যাপস নিয়ে কাজ করার সুযোগের কথাও তিনি জানান তরুণদের।

স্লাইড প্রেজেন্টেশনের ফাঁকে তানভির হোসেন খান ভিআর প্রযুক্তি নিয়ে বলেন, “ভিআর প্রযুক্তি নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজ করতে পারি, ডিফেন্স ও মেডিকেল সায়েন্স ইস্যুতে। বাস্তবে প্রশিক্ষণের সময় কিন্তু অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। থাকে জীবনের ঝুঁকিও। ভিআর প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের নানা দিকগুলো তাদের ডিভাইসে নিয়ে আসতে পারে। তখন খরচ আরো অনেক কমে যাবে। একইসঙ্গে শিল্পখাতেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবো।”

ফাহমি জানান, প্রযুক্তিবিদরা ২০২১ সালের মধ্যে এআর খাতে ৭৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করছেন। চার বছর পর এই প্রযুক্তি থেকে গোটা বিশ্ব বছরে ৪৪ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।

এরশাদুল ও নুসরাত আরও জানান, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে। এআর ও ভিআর প্রযুক্তি মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে। এতে উপকৃত হবে শিক্ষার্থীরাও।

নুসরাত বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীরা তখন আর ল্যাবের এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পাবে না। ওরা এআর ও ভিআর-এ এসে নিজেদের ইচ্ছামতো এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবে। তাতে কোনো ঝুঁকিরও আশঙ্কা থাকবে না।”

 

/ডিডি/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি