ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

এসময়ে কাপড়ের যত্ন নিবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৬, ৩০ আগস্ট ২০২০

করোনার এই সময়ে ঘরের বাইরে বেরনো মানেই ফিরে এসে কাপড় সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলা। কিন্তু বার বার দামি জামাকাপড় ধোয়া মানেই সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়। অপরদিকে বর্ষার এই মৌসুমে আর্দ্র আবহাওয়ায় এবং লক ডাউনে অনেক দিন আলমারিতে দামী কাপড় পড়ে থাকায় তা নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। তাই এই সময়ে কিভাবে কাপড়ের যত্ন নিবেন তা জানা জরুরী।

আসুন জেনেনি এসময়ে কাপড়ের যত্ন নিবেন যেভাবে-
প্রতিদিনের পোশাক আলনায় নয়
কাপড়চোপড় আলনায় না রেখে চেষ্টা করুন আলমারি ব্যবহার করতে। আলনায় ঝুলিয়ে রাখলে পোশাকের বিশেষ অংশের উপর চাপ পড়ে। ফলে আলনার রডের সঙ্গে লেগে থাকা অংশে হ্যাঙ্গিং লাইন তৈরি হতে পারে। ক্ষতি হয় ওই জায়গার সুতার অংশে। তার চেয়ে ন্যাপথলিন বা কালো জিরা বা শুকনো মরিচ বা নিম পাতা ছড়িয়ে আলমারিতে রাখুন।

এছাড়া কফি বিনস কাপড়ে মুড়ে, বেকিং পাউডার বা এসেনশিয়াল ওয়েলের প্যাকেটও ড্রয়ার কিংবা তাঁকে রাখা যায়, এতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর হবে, ভ্যাপসা গন্ধও হবে না। আর আলমারিতে হাওয়া-বাতাস চলাচল করা অত্যন্ত জরুরি। সে দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। 

ডিটারজেন্ট বা সাবান
কাপড় কাচা মানেই পরিষ্কার পানিতে সাবান দিয়ে ধোয়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গরম পানিও ব্যবহার করা হয়। প্রায় সব ধরনের ডিটারজেন্ট বা লিকুইডে কম-বেশি একই রাসায়নিক থাকে। মূলত ফসফেট, কার্বনেট ও সোডিয়াম স্যালিকেট। এসব রাসায়নিকের অণুগুলোর একাংশ ‘ওয়াটার লাভার’। যা সহজেই পানিতে মেশে। অপর অংশ কিন্তু ‘ওয়াটার হেটার’। যা মেশে তেলের সঙ্গে। বিভিন্ন রকমের ডিটারজেন্টের হিসেব আলাদা-আলাদা হয়। কাজেই কোন ধরনের পোশাকের জন্য কী সাবান বাছবেন, সেটাও সাবানের কম্পোজিশন দেখে ঠিক করুন।

আরও কী করতে হবে
• সিল্কের শাড়ি বা শার্ট এগুলো বেশি দিন রেখে দিলে বিবর্ণ হয়ে যায়। তাই দামি পোশাক মাঝেমধ্যে ঘরে পরুন, ছবি তুলুন এতে মনও ভাল থাকবে। 

• হালকা রোদে রাখুন জামাকাপড়।

• শিফন ও জর্জেটের পোশাকে সেফটিপিন আটকাবেন না। তাই মুড়েই রাখতে হবে। নরম ডিটারজেন্টে শ্যাম্পু মিশিয়ে হাতে কাচতে হবে।

• অন্য কোনও কাপড়ের সঙ্গে নয়, সিল্কের পোশাক আলাদা রাখতে হয়। জরি অংশ মলমল দিয়ে ঢেকে রাখুন।

• ছত্রাক থেকে বাঁচতে আলমারিতে সিলিকা জেল পাউচ রাখতে হবে।

• দামি পোশাকের উপরে সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না। তুলায় ভ্যানিলা এসেন্স জাতীয় পদার্থ দিয়ে আলমারির চারটি কোণে রেখে দিতে পারেন।

• আলমারির প্রতিটি কোণে পরিষ্কার কাপড়ে পুঁটলি করে বা টিস্যু পেপারে মুড়ে ন্যাপথালিন রেখে দেওয়া যেতে পারে।

• করোনা আবহে সুতির কাচা কাপড়গুলো কড়া করে ইস্ত্রি করুন।

শাড়ির ক্ষেত্রে

• মাসে এক বার ভাঁজ খুলে শাড়ি খোলা জায়গায়, ছায়ায় রাখুন। তারপর ভাঁজ বদলে রাখতে হবে। বেশি দিন একভাবে রাখলে ভাঁজে ভাঁজে সিল্কের পোশাক ফেঁসে যায়।

• পুরনো শাড়ির সঙ্গে পাকিয়ে পাকিয়ে মুড়ে কোলবালিশের মতো করে কভার পরিয়ে রাখা যেতে পারে দামি শাড়িগুলোকে।

• শাড়ি ভাঁজ করে রাখলে উপরে ও নীচের প্রতিটি ভাঁজের ভিতর ট্রেসিং পেপার রাখা যেতে পারে। তার মধ্যে শুকনো মরিচ, ন্যাপথালিন এগুলো ব্যবহার করা যায়।

• বেশি দিন এক ভাঁজ রাখলে জরির কাজ, এমব্রয়ডারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি প্লাস্টিকের ব্যাগে শাড়ি রাখলেও সূক্ষ্ম কাজগুলো কালচে হয়ে যেতে পারে।

• চেষ্টা করুন আলমারির অন্ধকারতম অংশে জরির শাড়িটি রাখতে। বেনারসি, তসর, ঘিচা, কাঞ্জিভরম প্রভৃতি সিল্ক এবং সব ডিজাইনার শাড়ি বা পোশাকের (পাঞ্জাবি, শার্ট, সালোয়ার নির্বিশেষে) ক্ষেত্রে এভাবেই যত্ন করতে হবে।

এছাড়া শাড়ি বা শার্টের কভার পাওয়া যায়। তাতেও জামাকাপড় মুড়ে রাখলে ভাল থাকবে। 
সূত্র : আনন্দবাজার
এএইচ/এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি