ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১৪:০১, ২৬ আগস্ট ২০২২

পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে খুনিদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে খন্দকার মোশতাক। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে। 

সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের জাতির পিতাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি ষড়যন্ত্রকারীরা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যেন কখনোই বিচারের মুখোমুখি না হতে হয় সে ব্যবস্থা করেছিল খন্দকার মোশতাক। 

২৬ সেপ্টেম্বর মোশতাক এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের অপরাধ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। 

এই অধ্যাদেশটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অনুরোধক্রমে ‘দি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স’ নামে গেজেট নোটিশে প্রকাশ করা হয়। জনগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হতে পারে এমন শঙ্কায় এই অধ্যাদেশের খবর  পত্র পত্রিকায় তা প্রচার করা হয় নি। 
(সুত্র : বাংলাদেশ রক্তের ঋণ - পৃষ্ঠা ১০৪)

অ্যান্থনী মাসকারেনহাস তার এ ব্লাড অব লিগ্যাসী বইতে লেখেন, ৭৫ এর হত্যাকারীদের ক্ষমা ঘোষণা, ফারুক-রশিদকে পদোন্নতি, এবং ৩ অক্টোবর বেতার ভাষণে তাদের সুর্যসন্তান বলে যে প্রশংসা করা হয় তাতে সেনাবাহিনীর মনোবল আর শৃঙ্খলায় ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে।
(সুত্র : বাংলাদেশ রক্তের ঋণ - পৃষ্ঠা ১০৬) 

১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সংসদে এই কালো আইনটিকে অনুমোদন দেন। শুধু তাই নয় সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর পর সংশোধিত এ আইনটি বাংলাদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি