ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব কী হবে

গোলাম মোস্তফা

প্রকাশিত : ২০:২৩, ৭ এপ্রিল ২০২০ | আপডেট: ২২:৪৬, ৭ এপ্রিল ২০২০

বিগত ৭০ বছরের মধ্যে মানুষ এরকম মহামারির মুখোমুখি হয়নি। বিশ্বে আজ পর্যন্ত প্রায় ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত এবং প্রায় ৭২ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জনসহ মোট আক্রান্ত ১২৩ জন এবং ২৪ ঘণ্টায় তিনজনসহ মোট ১২ জন মারা গেছেন (৬ এপ্রিল পর্যন্ত)।

এ লেখা যখন লিখছি, সেই মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন এবং ডাক্তাররা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার জন্য চিন্তা-ভাবনা করছেন। বিশ্বের সব দেশ করোনার কারণে ভয়াবহ এক ভোগান্তিতে পড়েছে। যার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এখন কেউ বলতে পারছে না বিশ্ব কোন দিকে যাচ্ছে।

কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, বিশ্ব এক মহামন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলো কোভিড-১৯ এ অনেক বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কারণ এসব দেশে করোনা তার ভয়াল রূপ দেখাচ্ছে। উত্তর গোলার্ধে গরম আবহাওয়া আসা পর্যন্ত এসব দেশের মানুষকে লকডাউনে ঘরের মধ্যে থাকতে হতে পারে। দুটি বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অনেক পরিবর্তন এসেছে। যেমন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সমাজতন্ত্রের উত্থান হয় এবং অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। এ ছাড়া আরও অনেক পরিবর্তন আসে। তেমনিভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শক্তিশালী যুক্তরাজ্যের ক্ষমতা কমে যায়, নতুন পরাশক্তি (সুপার পাওয়ার) হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান হয়, জাতিসংঘ গঠন হয় এবং চীনে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কোল্ডওয়ারের মাধ্যমে অনেক দেশে সেনা অভ্যূত্থান ঘটতে থাকে, বিশ্বে প্রচলিত একক মুদ্রা হিসেবে ডলারের ব্যবহার শুরু ইত্যাদি।

তেমনি কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব হবে এক নতুন বিশ্ব। অনেক কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। দেখা যাক কি হতে পারে সেই পরিবর্তন।

১. দিনশেষে এক সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো চীন নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হতে পারে। কারণ এখন করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ চীনের দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ চীনের ভৌগোলিক আয়তন ও লোকসংখা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর। চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। গত চারদশকের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৩০ ডলার থেকে ১১ হাজার ডলারে উন্নিত হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই চীন বিশ্বে নাম্বার ওয়ান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হবে বিশ্বে এখন সাপ্লাই চেইন রক্ষার্থে চীনের অর্থনীতির ওপর নির্ভর করতে হয়। কারণ চীন এখন বিশ্বের ইকোনোমি অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং হাব। সেখানে এমন কোনো পণ্য নেই যা তারা তৈরি করে না বা রপ্তানি করছে না। মুসলামানদের তসবি এবং জায়নামাজ থেকে হিন্দুদের দেব-দেবী, খ্রিস্টানদের সমাহিত করার কফিন থেকে অতিসম্প্রতি উড়োহাজাজ পর্যন্ত তারা তৈরি করছে। ১৪০ কোটি লোকের দেশ চীন বর্তমানে একমাত্র সুপার পাওয়ারের অধিকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, এটাই স্বাভাবিক।

লেখক- গোলাম মোস্তফা

২. বিশ্ব আরও ডিজিটাল হবে। শপিং থেকে শুরু করে প্রকাশনা পর্যন্ত সব ডিজিটাল হয়ে যাবে। চালকবিহীন গাড়ি ও স্মার্ট টিভি ও স্মার্ট ফোনের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাবে। সবকিছুই থাকবে হাতের মুঠোয়। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) ও ন্যানো প্রযুক্তি বর্তমান প্রচলিত প্রযুক্তিতে আনতে নতুন বিপ্লব।

৩. ব্যাংকগুলো তাদের বর্তমান প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। অধিকাংশ ব্যাংক অনলাইন ও ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে সেবা প্রদান করবে। শাখার সংখ্যা কমে যাবে। হাজার হাজার মানুষ এই খাতে চাকরি হারাবেন। অধিকাংশ গ্রাহকই ব্যাংকে যেতে চাইবেন না। তারা অনলাইনে লেনদেন করতে চাইবেন। তাই অধিকাংশ লেনদেন হবে অনলাইনে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

৪. টাকার নোট বা নোটের মুদ্রার প্রচলন কমে যেতে পারে। বড়তে পারে ডিজিটাল মুদ্রা বা অনলাইনে লেনদেন। যেমন: এখন বাংলাদেশে বিকাশ, রকেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ করা যায়। অনলাইন লেনদেন স্বাস্থ্যসম্মত এবং দুর্নীতি কমানোর একটি মাধ্যম হতে পারে।

৫. বিশ্বে চুরি এবং বিশেষ করে ডাকাতি কমে যেতে পারে। কারণ বিশ্বের মানুষ সাইবার সার্ভিলেন্সের আওতায় আসবে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সুবিধা হবে। তবে সাইবার ক্রাইম আরও বাড়তে পারে। কারণ সবকিছু ডিজিটাল হলে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যায়। সাইবার ক্রাইম রোধে সরকারগুলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। 

৬. করোনার কারণে বর্তমানে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদন একেবারেই কমে গেছে। করোনা-পরবর্তী চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম হবে। আর এই চাহিদা মোকাবিলায় সময় লাগবে। যার কারণে সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে এটি বেশি হতে পারে। বিভিন্ন দেশের সরকারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি পড়বে এবং কিছু কিছু দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাঘাত ও কর্মহীনতার জন্য গণঅভ্যুত্থান ও সরকারের পরিবর্তন হতে পারে।

৭. করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বে পরিবেশবাদী আন্দোলনের প্রভাব বিস্তার ঘটবে। কারণ এটা প্রমাণিত যে, ধরিত্রী যদি বেঁচে থাকে তাহলে মানুষ সমাজেও সুস্বাস্থ্য নিয়ে বসবাস করতে পারবে। এইক্ষেত্রে জলচ্ছ্বাস, বন উজাড়, ঘূর্ণিঝড়, মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় ঘটে এমন বিষয়ের বিপক্ষে পরিবেশবাদীদের আন্দোলন সোচ্চার হবে। বিভিন্ন দেশের সরকার ও জাতিসংঘ নতুন আইন প্রণয়নে বাধ্য হবে।

৮. জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি সামগ্রী উৎপাদনকারী ওষুধ কোম্পানিগুলোর জন্য দেশগুলোকে নতুন করে আইন বা বিধি প্রণয়ন করতে হবে। কারণ জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চাহিদা বেশি থাকবে এবং কোম্পানিগুলো বেশি মুনাফার সুযোগ খুঁজবে। সংকটে অনেকেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তাই এসব কোম্পানিকে কঠোর নজদারির কোনো বিকল্প থাকবে না। 

৯. উড়োজাহাজ, সমুদ্রগামী পণ্য ও মানুষ্যবাহী জাহাজ, কুরিয়ার সার্ভিস এবং কন্টেইনার সার্ভিসের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি এবং অপারেশন সিস্টেম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি ও অপারেশন সিস্টেমের ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হতে পারে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশগুলো স্বাস্থ্যবিধি ও অপারেশন সিস্টেম মেনে চলার বিষয়টি সরকারগুলো কঠোর মনিটরিংয়ের মধ্যে আনতে পারে।

১০. করোনা বিদায় নিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তা বলা যাবে না। চীন এবং আমেরিকার মধ্যে একটি যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। যদি আমেরিকা প্রমাণ করতে পারে যে, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের কোনো হাত রয়েছে। তাহলে তারা চীনকে ছাড় দেবে বলে মনে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তো কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনে করোনাকে চীনা ভাইরাস হিসেবে অভিহিত করেছেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট করোনা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এটা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সংকট মোকাবিলার একটা কৌশল হতে পারে। ইতোমধ্যেই আমেরিকায় গণমাধ্যমগুলো এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। ট্রেক্সাস আদালত চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতির মামলায় চীনের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে চীনকে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে চীনকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করতে হবে। 

১১. দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে প্রভাব বিস্তার নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে দ্বদ্ব দীর্ঘদিনের। মাঝেমধ্যেই তা প্রকাশ্যে এসেছে। এ ছাড়া চীন, ইরান এবং উত্তর কোরিয়া একটি মেরুকরণ হয়ে, তারাই মূলত আগামীদিনে আমেরিকার বিরোধী শক্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এসব দেশ আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ইরান ও উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নানা বিধিনিষেধের মধ্যে আছে। তবে চীন এ বিষয়ে অনেকটা সতর্ক হয়েই সামনে এগোতে পারে।

১২. মানুষ এতদিন অফিসে বসেই অফিসের কার্যক্রম করতেন। কিন্তু করোনাপরবর্তী সময়ে অফিসের কাজ বাসায় করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে করপোরেট হাউজগুলোর অফিসের আয়তন ছোট হয়ে যাবে। ফলে বাণিজ্যিক ভবনের জায়গার চাহিদা ও দাম কমে যেতে পারে। অপরদিকে, আবাসিক ফ্ল্যাট/বাড়ির দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

১৩. মানুষ ঘরে বসেই অফিসের কাজ করার কারণে পারিবারিক বন্ধন আরও মজবুত হবে। মানুষ অনেকটা মেশিনের মতো হয়ে গিয়েছিল। কাজের চাপে মানুষ পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে পারতো না। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ অফিস আর যানজটের কারণে পরিবারকে সময় দিতে পারতো না। আর কাজের চাপ ও যানজটে মানসিকতাও ভালো থাকতো না। করোনা কারণে মানুষের মধ্যে এই পরিবর্তন আসতে পারে। 

১৪. মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে। সারাক্ষণ বাড়িতে থাকায় মানুষের যৌনজীবনে অনেক পরিবর্তন আসতে পারে। এটা উন্নয়নশীল থেকে উন্নত বিশ্বের দেশেও একই অবস্থা। আর বিশেষ করে জন্মনিরোধক পদ্ধতির সামগ্রী এখন সরবরাহ কমে গেছে। কারণ চাহিদা অনেক বেশি। এই চিত্র সারা বিশ্বেই। যার কারণে গর্ভধারণ বাড়বে বলে অনেক গবেষণাতেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৫. করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এসব ক্ষেত্রে ব্যবসা বাড়বে। অন্যান্য খাতে ব্যবসায় মুনাফা না হলেও স্বাস্থ্য খাতের ব্যবসায়ীরা মুনাফা করবেন। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় ওষুধ আবিষ্কার হলে এই সংশ্লিষ্ট ওষুধ তৈরির কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও বাড়বে। এ ছাড়া সেনিটাইজ পণ্যসামগ্রীর ব্যবসাও চাঙ্গা থাকবে আগামীদিনে। একইসঙ্গে মাস্ক ও পিপিই তৈরির কোম্পানিগুলোও ভালো ব্যবসা করবে।

১৬. করোনার কারণে ইউরোপের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এতে করে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। সরকারও তাদের যথেষ্ট অথনৈতিক সাপোর্ট দিতে পারবে না। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের মতো কোনো কোনো দেশ বের হয়ে যেতে পারে। 

উপরের পর্যোচনাগুলো বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যক্তিদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এখনই তৈরি করতে হবে। আগামীদিনের কথা চিন্তা করেই এখনই পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী চলা শুরু করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। যা বাংলাদেশের জন্য অদূর ভবিষ্যতে খুব উপকারই হবে।

লেখক: চেয়ারম্যান, দেশবন্ধু গ্রুপ

এসি


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


টেলিফোন: +৮৮ ০২ ৫৫০১৪৩১৬-২৫

ফ্যক্স :

ইমেল: etvonline@ekushey-tv.com

Webmail

জাহাঙ্গীর টাওয়ার, (৭ম তলা), ১০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

এস. আলম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি