ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করে দই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কোষ্ঠকাঠিন্যে একটি অস্ততিকর শারীরিক সমস্যা। মসলা্যুক্ত ভারী খাবারের কারণে মাঝে মাঝে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। এই কোষ্ঠকাঠিন্যে ধীরে ধীরে বড় সমস্যার দিকে নিয়ে যায়। ফলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে পাইলস বা কোলন কান্স্যার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যে থেকে নিরাময় পেতে খাবারের তালিকায় রাখুন দই।

দইয়ে আছে ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২, পটাসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম। দুধের থেকে দই ভালে কাজ করে। দইয়ের ফাইবার পেটের নানান রোগে অব্যর্থ ওষুধ। তাজা ফলের সঙ্গে বা সূর্যমুখীর বীজের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ

বেশিদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন-

খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণ : কম আঁশযুক্ত খাবার খেলে অনেক শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারে। গরুর দুধ খেলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।

শারীরিক ত্রুটি : অ্যানোরেকটাল স্টেনোসিস বা মলদ্বার জন্মগতভাবে বন্ধ থাকলে।

স্মায়ুতন্ত্রের ত্রুটি : যেমন অ্যাগ্যাং লিওনোসিস করা, স্মায়ু ও মাংসপেশির ত্রুটি থাকলে।

মানসিক প্রতিবন্ধী হলে।

স্মায়ুর সমস্যা বা সেরেব্রাল পলসি থাকলে।

শরীরের শক্তি কমে যাওয়া বা হাইপোটনিয়া হলে।

হাইপোথাইরয়েডিজম হলে।

বহুমূত্র রোগ হলে।

শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে।

রেনাল টিউবুলার অ্যাসিডোসিস হলে।

কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী দই

দই খাবারের অন্যতম ঐতিহ্য। আয়ুর্বেদের সবচেয়ে মূল্যবান রত্ন হচ্ছে দই। আধুনিক বিজ্ঞানেও খাবারের বিষয়ে দইয়ের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। হজমের কাজে সহায়তা করতে দইয়ের ভূমিকা অপরিসীম।

দইয়ের শীতল বৈশিষ্ট্য আমাদের অন্ত্রের আরাম জোগায়। পুষ্টিবিদরা বলেন, দইয়ের মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা কমায়। দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের কার্যকলাপ উন্নত করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হাড় শক্তিশালী করা ছাড়াও পুষ্টিপদার্থের শোষণে সাহায্য করে। নিয়মিত টকদই খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হবার সম্ভাবনা থাকবেই না।

সূত্র : এনডিটিভি।

কেএনইউ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি