ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

খালেদার খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করলেন আইনজীবী রেজাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৫৪, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। একই সাথে বিএনপি চেয়ারপারসনের খালাস চেয়ে তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন তিনি।

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে বসে গত ২০ ডিসেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানি শুরুর পর থেকে পাঁচ কার্যদিবসের চারদিনই খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী রেজাক।

বুধবার যুক্তিতর্ক শুনানির পঞ্চম দিনে রেজাক খান তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। দুপুর পরে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে নতুন করে যুক্তি তুলে ধরেন আরেক আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদার উপস্থিতিতে বক্তব্য শুরু করেন রেজাক খান। ১৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে দুপুর পৌনে দুইটা পর্যন্ত যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন তিনি। পরে তার যুক্তি-তর্ক শেষ বলে আদালতকে জানিয়ে মামলা থেকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়ার দাবি জানান রেজাক খান।

চারদিন নিজের যুক্তি তুলে ধরে তিনি আদালতকে বলেন, ‘জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাকে খালাস দেওয়ার দাবি জানাই।’

বিএনপি নেত্রীর পক্ষে অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম বারের মতো যুক্তি-তর্ক শুরু করলেও দিনের শুনানি শেষ হওয়ার আগে ১৫ মিনিট সময় পান তিনি। আদালতের বিচারক আগামীকাল বৃহস্পতিবারও মাহবুব হোসেনের যুক্তি উপস্থাপনের সময় রেখেছেন।

১৫ মিনিটের বক্তব্যে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমরা যাই বলি না কেন, এই মামলার স্বাক্ষী প্রমাণে যাই থাকুক না কেন, বলতে হবে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা।’

পরে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাক্ষ্য প্রমাণে কোনো বিষয়ে খালেদা জিয়ার বিপক্ষে বলা হয়নি। এতে তিনি যে জড়িত ছিলেন না, সেটাই প্রমাণিত হয়।

‘সংবিধান অনুযায়ী ওই লেনদেনের সাথে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা প্রাইভৈট ট্রাস্ট। বেগম জিয়ার চরিত্র হননের জন্য, তাকে জনগণের সামনে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়।’

বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে আসা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে সাত দিন বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর তার বক্তব্য শেষ হলে বিচারক যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করে দেন। যুক্তিতর্ক শুনানির শুরুর দিন ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছিলেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

উল্লেখ্য, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দেন। পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরু করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

 

আর


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি