ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গ্রামের চেয়ে শহরে বাড়ছে অটিস্টিক শিশু (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন

প্রকাশিত : ১১:০১, ২ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১১:০৬, ২ এপ্রিল ২০২২

দেশে প্রতি ১০ হাজারে মধ্যে ১৭ শিশু অটিজম আক্রান্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে দেশে অটিস্টিক শিশু সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এর সাথে প্রতি বছর যোগ হচ্ছে আরও ১৫শ শিশু। আক্রান্ত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারিবারিক সচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

শিশুকে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে অপূর্ণতায় পর্যবসিত করে অটিজম। অনেকে এটিকে মানসিক রোগ মনে করলেও এটি স্নায়ুবিক বিকাশ-জনিত সমস্যা। যে সমস্যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি আর দশজন মানুষের সাথে স্বাভাবিক যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হয়।

অটিজমের লক্ষণ নিয়েই একটি শিশু জন্ম নেয়। দেড় থেকে তিন বছর বয়সে লক্ষ্যণগুলো প্রকাশ পায়। ১ বছরের মধ্যে বাবা-মাসহ আপনজনদের না ডাকা, দুই বছরে অর্থপূর্ণ দুটি শব্দ দিয়ে কথা বলতে না পারা। চোখে চোখ রাখতে না পারা। নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয়া এবং সমবয়সী শিশুর সাথে মিশতে সমস্যা হওয়া অটিজমের লক্ষণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বিএসএমএমইউ’র কনসালটেন্ট ডা. নাহিদ নবী বলেন, “এটাকে যদি টাইমলি অ্যাড্রেস না করা যায় তাহলে এটা আরও খারাপের দিকে যাবে। বাচ্চাটার জন্য কোন উপকার হবে না বরং তার ক্ষতিই হবে। সেজন্য ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, মাইনটাকে পজিটিভ রাখতে হবে।”

গবেষণা বলছে, গ্রামের চেয়ে শহরে বাড়ছে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা। গ্রামে প্রতি ১০ হাজারে ১৪ আর শহরে প্রতি ১০ হাজারে ২৫ শিশু অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। আর দেশে প্রতি ১০ হাজারে মধ্যে গড়ে ১৭ শিশু অটিজমে আক্রান্ত।

ডা. নাহিদ নবী বলেন, “যারা বুঝতে পারেন যে বাচ্চার সমস্যা আছে তারা লুকিয়ে রাখতো বা ওই বাচ্চাগুলোকে হাইট করে রাখতো। যে কোন একটা আখ্যা দিয়ে তাদেরকে ঘরে বন্দি করে রাখতো। অথবা জানতই না যে এটা সমস্যা, এটার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। এখন মানুষ এ বিষয়গুলো জানে।”

অটিজম চিকিৎসায় ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই৷ এর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। ভয় না পেয়ে পরিবারকে সচেতন হওয়ারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। 

ডা. নাহিদ নবী আরও বলেন, “মা বলছে বাচ্চা কথা বলে না। তখন পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা বলেছে ওর বাপ-চাচারাও দেরিতে কথা বলেছে। তুমি কেন এত দুশ্চিন্তা করতো, একটু বড় হতে দাও কথা বলবে। এই যে টাইমটা ওয়েস্ট হওয়া শুরু হয়ে গেল। কারণ উইন্ডো ওপেনের সময়সীমা পাঁচ বছর।”

অটিস্টিক শিশুদের জন্য দেশে এখনও পর্যাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি বলেও জানান চিকিৎসকরা।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, “আমাদের স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আমি ডায়াগনসিস করে দিলাম, বাসায় কি কাজ করতে হবে সব বলে দিলাম কিন্তু বেশির ভাগ বাচ্চারা স্কুলিং পাচ্ছে না।”

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি