ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চরে চাষাবাদে ভাগ্য বদলেছে অনেকের, বদলেনি শ্রমিকদের (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

সাগরপারের বিস্তির্ণ চরে অনেকেরই ভাগ্য বদলেছে চাষাবাদে। শুধু শ্রমিকেরা জর্জরিত মহাজনী ঋণে। নারী-পুরুষ যৌথ কামলা দিয়েও মুক্তি মেলে না সুদের জাল থেকে। 

পটুয়াখালী শহর ছেড়ে বহু দূরের চরমোন্তাজ। সাগরের বুকে কাছিমের পিঠের মতো জেগে ওঠা চরটিতে অনেকদিন ধরেই চলছে তরমুজ চাষ। সংসারের কষ্ট ঘোচাতে নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবেই কামলা দেন খেতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সচ্ছ্বলতা আসেনি।

তারা জানান, আমরা মাছ ধরতাম কিন্তু মাছ পাইনা। এজন্য এই কাজ করছি। একাজে দিনে ২শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা পাওয়া যায়। 

রাঙ্গাবালি উপজেলা থেকে পূর্ব-দক্ষিণের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজ। সেখানে কথা হয় তরমুজের খেতে কামলা দিতে আসা দিনমজুরদের সঙ্গে। যাদের অবস্থা- ভাত জুটলে তরকারি নাই কিংবা তরকারি মিললেও জোটে না ভাত। 

দিনমজুররা জানান, জায়গা-জমি নাই, নদীতে ভেঙে গেছে। থাকি অন্যের বাড়িতে। এই কাজ শেষ হলে বসে থাকতে হয়। তখন খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটাই।

সাগরে মাছের আকাল। এলাকার প্রধান পেশা তাই বহুদিন ধরেই কৃষিকাজ। কিন্তু বীজবপন থেকে আবাদ শেষে বিপণন অব্দি দেখা পান না কৃষি কর্মকর্তাদের। 

জেলা সদর থেকে বহু দূরের এই চরগুলোতে দিনের পর দিন তরমুজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অর্থকরী ফসলের চাষ করছেন সহজ-সরল কৃষক। অথচ নাই সার, নাই বীজ, নাই কীটনাশক। আবার এসব দেখভাল করার কথা যেসব কর্মকর্তার, তাদেরও অনুপস্থিতি দিনের পর দিন নয় বছরের পর বছর।

এএইচ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি