‘চাঁদাবাজের মুখে নীতিবাক্য’, হাস্যরসে মেতেছে নেটিজেনরা
প্রকাশিত : ১৯:১৫, ২৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২৩, ২৭ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর গুলশানে সাবেক নারী সংসদ সদস্যের বাড়ী থেকে চাঁদা নেয়ার সময় হাতেনাতে আটকত হয় ৫ জন। এর মধ্যে সেখান একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাকিবও ছিলেন।
গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আল আমিন হোসেন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জানান, পাঁচ জনকে গুলশান ২ নম্বর এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছি। রাকিবসহ ওই ব্যক্তিরা সেখানে চাঁদাবাজি করার জন্য গিয়েছিল।
এদিকে এই চাঁদাবাজির ঘটনার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে চলছে নানা তর্ক আর বির্তক। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাকিবের পুরানো একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ওই পোস্টে রাকিব লিখেছিলেন-
“রাজনীতি একটি সেবা, যারা এটিকে অবৈধ টাকা আয়ের পথ বানাতে চান—দয়া করে রাজনীতি না করে ব্যবসা করুন। রাজনীতিকে কলুষিত করবেন না।”
এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ব্যঙ্গ করে নানা পোস্ট করছেন। আর তাতে নানান হাস্যরসের কথায় মেতেছে নেটিজেনরা।
ফয়সাল নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, চাঁদাবাজের মুতে নীতিবাক্য!, আরেক নেটিজেন পলাশ মাহমুদ লিখেছেন, চাঁদাবাজি, আবার গলাবাজি।
এমন নানা মন্তব্যে ভরে উঠেছে ফেসবুক।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক নেত্রী উমামা ফাতেমা তার ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেন, অনেকেই অদ্ভুতভাবে আচরণ করলেও, তিনি অবাক নন। তিনি লিখেছেন-
‘তাদের অনেকেই সমাবেশে নেতা-প্রতিনিধিদের সঙ্গে থেকে পুরো সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ভেতরে ভেতরে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল।’
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্তদের ও আটককৃতদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এছাড়া রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারাদেশের কমিটি স্থগিত করেছে সংগঠনটি।
এদিকে, ঘটনাস্থলের প্রতিবেশী ও আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ওই গুলশান বাড়িতে পুনরায় চাঁদার জন্য আসার আগে একাধিকবার আসা-যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে অভিযুক্তদের।
এসএস//
আরও পড়ুন