ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

ছকের বাইরে কালারস অব দ্য চরস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৭, ৩০ নভেম্বর ২০২২

ক্যাটওয়াকে পোশাক উপস্থাপনা সব সময়েই নাটকীয়। এই নাটকীয়তা বৈচিত্র্যময়। সেখানেও একটা ছক অনুসরণ করা হয়ে থাকে। তবে এবারে সেই ছকের বাইরে গিয়ে চমক জাগানো এক ফ্যাশন শোয়ে নিজেদের সৃজন ক্ষমতার জানান দিয়েছে ফ্রেন্ডশিপ কালারস অব দ্য চরস।

দুই দশক পূর্ণ করেছে ফ্রেন্ডশিপ। গত শুক্রবার এই এনজিও উদ্‌যাপন করেছে তাদের সব মাইফলক সাফল্য। দিনভর নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উপস্থাপন করেছে তাদের অনুসরণীয় কর্মকাণ্ড, প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ আর তৃণমূল মানুষের জীবন বদলে দেওয়া সব উদ্যোগ। তবে ফ্রেন্ডশিপকে মোটা দাগে আমরা তাদের মোবাইল হাসপাতাল আর রেপ্লিকা নৌকার জন্য জানি। অথচ চরের মেয়েদের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যেম তাদের স্বনির্ভর করে তোলার গল্প সেই অর্থে ততটা সুবিদিত নয়।

তবে এই কর্মযজ্ঞের নামটা কোনো সন্দেহ নেই হৃদয়গ্রাহী: কালারস অব দ্য চরস। আসলেই তো চরের রং। যে রং ছড়িয়ে গেছে ভুবনময়। ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট যদি বলতে হয় তাহলে এই চরাচরের রং, সেখানকার জীবনের রং বদলে দেওয়া উদ্যোগকেই বলতে হবে। অগম্য চরে যা হচ্ছে, অভিজাত হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সম্মিলন কক্ষে বসে তার ঝলক দেখার অভিজ্ঞতা শুধু অনবদ্যই নয় বরং অভূবপূর্ত। কারণ, যা দেখানো হয়েছে এর সবকিছুর নেপথ্যের কুশীলব কিন্তু ওই চরের নারীরাই। তাঁদের হাতের জাদুতে তৈরি সব পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশে। উঠছে পরিবেশ সচেতন–ফ্যাশনিস্তাদের গায়ে। সে কথাই অনুষ্ঠানের শুরুতে সংক্ষিপ্ত অথচ হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্যে জানিয়ে দেন এই কর্মযজ্ঞের প্রাণভোমরা তথা ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান।

এ জন্যই তো গর্ব করে বলতে পারছে তারা অন্যদের থেকে আলাদা। তারাই বাংলাদেশের প্রথম ‘স্লো ফ্যাশন ব্র্যান্ড’। বাংলাদেশের চিরচারিত বয়নপদ্ধতি অনুসরণ করেই তৈরি হয় তাদের কাপড়। প্রাকৃতিক রংয়ের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয় এজো–মুক্ত রং। সেই কাপড়ে তৈরি হয় পোশাকসহ নানা ধরনের পণ্য। কখনো কখনো আবার বেঁচে যাওয়া কিংবা বাতিল কাপড়কে পুনর্ব্যবহার যেমন করা হয় তেমনি আপসাইলকেলও। ডিজাইনার ইমাম হাসান ও তাঁর দল সেই কাজ করে যাচ্ছেন প্রশংসনীয়ভাবে।

ফেরা যাক ফ্যাশন শোয়ের কথায়। ফ্রেন্ডশিপ কালারস অব দ্য চরস যা করছে তা যেমন দেশে থাকছে তেমনি ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বময়। ২০ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের অভিযাত্রা এভাবেই অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই এই এগিয়ে যাওয়ার পথ পরিণত হয়েছে সাফল্যের সরণিতে। সেসবই এক সন্ধ্যায় ছয় অধ্যায়ে পরিবেশিত হলো। হ্যান্ডলুম, জামদানি, খাদি, হেরিটেজ, আপসাইলকেল ও ফ্রম দ্য চরস টু দ্য ওয়ার্ল্ড—এই ছিল শিরোনাম।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি