জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ৪ আসন ছাড় বিএনপির
প্রকাশিত : ১৬:২২, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচনী সমঝোতার অংশ হিসেবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসনে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আসনগুলো হলো— নীলফামারী-১, নারায়ণগঞ্জ-৪, সিলেট-৫ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
মির্জা ফখরুল জানান, সিলেট-৫ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নীলফামারী-১ আসনে দলটির মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনশ’ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে ইতোমধ্যে দলীয় প্রার্থীদের নাম দুই দফায় ঘোষণা করেছে বিএনপি। বাকী ২৮ আসনের মধ্যে আজ ৪টি আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করল বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এসব আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মানতে হবে। কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই নির্বাচনী সমঝোতার অংশ হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সারাদেশের অন্য আসনগুলোতেও তাদের কোন প্রার্থী দেবে না।
তিনি আরও জানান, জমিয়তের প্রার্থীরা তাদের দলীয় প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দলটি আমাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। এ বিষয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আল্লাহ‘তালার কাছে আমরা দোয়া করি তাদের এই উদ্যোগ যেন সফল হয়।’
তিনি বলেন, ‘উনারা (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম) দলের নিজস্ব প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ মার্কায় নির্বাচন করবেন। আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন সম্পূর্ণভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করেন।’
এ সময় ওই নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের খেজুর গাছ মার্কায় ভোট দিয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বর্তমানে একটা ক্রান্তিকাল চলছে। এখান থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী বারবার থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।’
তবে তিনি আশা করেন, নির্বাচনকালীন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিগত দিনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে জমিয়তে উলামায়ে শীর্ষ স্থানে ছিল। সেই রাজনৈতিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় দলটির সঙ্গে নির্বাচনি আসনের সমঝোতা হয়েছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমির মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ‘দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশ পরিচালনায় বিএনপির ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। এ কারণেই বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান ও মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী।
এছাড়া, দলের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া ও মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাজহারী উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন










